পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

212 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড ৯৪। খেয়ালবশে মুজিবকে মুক্তি দেওয়া যায় দৈনিক পাকিস্তান ৩ নভেম্বর, ১৯৭১ নাঃ জেনারেল ইয়াহিয়া খেয়ালবশে মুজিবকে মুক্তি দেওয়া যায় নাঃ ইয়াহিয়া নিউইয়র্ক, ২রা নভেম্বর (এএফপি)। - প্রেসিডেন্ট জেঃ এ এম ইয়াহিয়া খান বলেছেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ আসন্ন এবং চীন তার (পাকিস্তানের) সশস্ত্র বাহিনীকে সবরকম অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ নিউজউইক ম্যাগাজিনের প্রতিনিধির সাথে বিশেষ সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেছেন। ইয়াহিয়া বলেন, যুদ্ধ (ভারতের সাথে) যে আসন্ন আপনাকে এ কথা না বলার কোন কারণ নেই। কেননা তা আসন্ন। ভারতীয়রা আমাদের সাথে যুদ্ধ শুরুই করে দিয়েছে। সার্বিক মোকাবিলা হচ্ছে না, কারণ আমরা পাল্টা আঘাত হানছি না। তিনি বলেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতির আরো সম্প্রসারণ ঘটুক তা তিনি চান না। তবে একটা এলাকা দখল করে সেখানে ক্রীড়ানক বাংলাদেশ সরকারকে বসানোর জন্য ভারত যদি উত্তেজনার প্রসার ঘটায় সেটা হবে যুদ্ধ। আর অবস্থা যদি তাই দাঁড়ায় চীন পাকিস্তানের উপর আক্রমণ সহ্য করবে না। প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ছাড়া আমরা প্রয়োজনীয় সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ পাবো। পূর্ব পাকিস্তানের দাবী প্রসংগে প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের যে সময় নষ্ট হয়েছে- তা পূরণ করার চেষ্টা করছি। ২০শে ডিসেম্বর শাসনতন্ত্র জারী করা হবে। আর এটা খুবই স্বাভাবিক যে পূর্ব পাকিস্তান প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও কর ধার্যের বিষয় ছাড়া আর সব ক্ষেত্রে সর্বাধিক স্বায়ত্তশাসন ভোগ করবে। শেষ মুজিব প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট বলেন, মুজিব যদি এখন পুর্ব পাকিস্তানে ফিরে যান, তার লোকেরাই তাকে মেরে ফেলবে। কেননা, তারা তাদের সকল দুর্ভোগের জন্য তাকেই দায়ী করছে। খেয়ালের বশে আমি তাকে মুক্তি দিতে পারি না। তবে জাতি যদি তার মুক্তি চায়- আমি তাকে মুক্তি দেবো।