পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

271 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড ১২০। পাক-ভারত কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন দৈনিক ইত্তেফাক ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পাক-ভারত কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন ইসলামাবাদ, ৬ই ডিসেম্বর (এপিপি)। -আজ পাকিস্তান সরকার ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করিয়াছেন। আজ অপরাহ্নে প্রকাশিত এক সরকারী হ্যাণ্ড আউটে বলা হয় যে, ভারত সরকার তথাকথিত বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দান করায় সম্পর্ক ছিন্ন করা হইয়াছে। ভারতে নিযুক্ত সুইচ দূতকে ভারত-পাকিস্তানের বিষয়াদি দেখার দায়িত্ব প্রদান করা হইয়াছে। মার্কিন কর্মকর্তা কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানের সমালোচনা ওয়াশিংটন হইতে রয়টারের খবরে বলা হয়, মার্কিন সরকারী কর্মকর্তারা আজ ভোরে এখানে বলেন যে, ভারত কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দানের ফলে উপমহাদেশের অবনতিশীল পরিস্থিতি সুস্পষ্টভাবে আরও একধাপ খারাপ হইয়া উঠিবে। জনৈক কর্মকর্তা বলেন, তাঁহারা অবশ্য ভারতের এই উদ্যোগকে কোন গুরুতর নয়া পর্যায় বলিয়া মনে করেন না। কেননা পাক-ভারত সম্পর্ক গত কয়েকদিন যাবৎই অত্যন্ত খারাপ। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের জনৈক কর্মকর্তা বলেন যে, মার্কিন সরকার সরকারীভাবে অবহিত না হওয়া পর্যন্ত তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দানের ঘোষণা সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে অপারগ। ভারতীয় কুটনীতিকরা সকল সুবিধা ভোগ করিতেছে রাওয়ালপিণ্ডি, ৬ই ডিসেম্বর (এপিপি)। -জনৈক সরকারী মুখপাত্র আজ এখানে বলেন যে, ভারতীয় কুটনীতিকদের সাতটি বাড়ীতে থাকার ব্যবস্থা করা হইয়াছে। উক্ত ব্যবস্থা তাহাদের ইচ্ছানুযায়ী করা হইয়াছে। সাবেক হাইকমিশনার জেনারেল কে আটলের অধিকারে যে ভবনটি ছিল তিনি সেখানেই বাস করিতেছেনভারতীয় কুটনীতিকদেরকে তিনটি ভবনে আটক করিয়া রাখা হইয়াছে বলিয়া ভারতীয় বেতারে যে উক্তি করা হয় উক্ত মুখপাত্র তাহা অস্বীকার করেন। পাকিস্তান সরকার তাহাদের নিরাপত্তা এবং দেখাশোনার কাজ করিতেছেন। সাবেক ভারতীয় হাই কমিশনার কর্মচারীদের খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ এবং মেডিক্যালের সুযোগ-সুবিধা রহিয়াছে। সাবেক হাই কমিশনার নিজে স্বীকার করিয়াছেন যে, তাহারা কোনরুপ শারীরিক কষ্ট বা অসুবিধা ভোগ করিতেছেন না। উক্ত মুখপাত্র বলেন, নয়াদিল্লীস্থ পাকিস্তানী কূটনীতিকদের নিরাপত্তা সম্পর্কে কোন সংবাদ পাওয়া যায় নাই। ১৬ জন ভারতীয় অফিসার ইসলামাবাদ কূটনৈতিক মর্যাদা ভোগ করিতেছেন। করাচীতে তাহদের কতজন কর্মচারী রহিয়াছে, তাহা জানা নাই। তিনি বলেন যে, ভারতীয় কর্মচারীদের সংবাদাদি পাওয়া সহজ। যেহেতু বৃটিশ হাইকমিশনার ভারতীয় কর্মচারীদেরকে দেখাশোনা করিতেছে। সেইহেতু উক্ত মিথ্যা সংবাদের জন্য বৃটিশ হাই কমিশন দায়ী কি না এই মর্মে এক প্রশ্নের উত্তরে উক্ত মুখপাত্র বলেন যে, এ ব্যাপারে কোন অনুরোধ করিয়াছে বলিয়া কথিত সংবাদ উক্ত মুখপাত্র সমর্থন বা অস্বীকার করা হইতে বিরত থাকেন।