পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৪২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

392 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড লীগের অধিবেশনে যোগদানের পূর্বেই পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে দুটি শর্ত যেমন, ‘অবিলম্বে সামরিক আইন প্রত্যাহার এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর কার্যত প্রেসিডেন্ট কর্তৃক মেনে নেয়া অসম্ভব। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া এর পরিস্থিতির একটা নিষ্পত্তি করা উদ্দেশ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হবার জন্যে (যেটা হয়তো তাঁর শেষ বৈঠকও হতে পারে) খুব শিগগিরই ঢাকা যাচ্ছেন।” ১৯৭১ সালের ১৫ই মার্চ অর্থাৎ যেদিন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আওয়ামী লীগের সঙ্গে শাসনতান্ত্রিক ব্যাপারে আরো আলাপ-আলোচনার জন্যে ঢাকা গমন করলেন সেদিন “টাইম” সাময়িকী নিউইয়র্ক থেকে লিখলেন, আসন্ন বিভক্তির (পাকিস্তানকে দুটি পৃথক রাষ্ট্রে পরিণতকরণ) পশ্চাতে যে মানবটি রয়েছেন তিনি হচ্ছেন শেখ মুজিবুর রহমান (মুজিব)। গত সপ্তাহে ঢাকায় শেখ মুজিব “টাইম” এর সংবাদদাতা ডন কগিনকে জন্যে পৃথক পৃথক শাসনতন্ত্র প্রণয়নের কথা বলেন এবং জানান যে তার অনুগামীরা কেন্দ্রীয় সরকারের কর দিতে অস্বীকার করেছে যা কিনা পশ্চিম পাকিস্তানে অবস্থিত। মনে হচ্ছে তিনি তাঁর ভাষায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছেন। এর দুদিন আগে পূর্ব পাকিস্তানের এই নেতা পশ্চিম পাকিস্তানীদের সম্পর্কে বলেন, “আমি তাদেরকে পঙ্গু করে দেব এবং তাদেরকে নতি স্বীকার করতে বাধ্য করবো।” এর ধরনের একটি বিবৃতির পর সোজাসুজি স্বাধীনতা ঘোষণা আর অতি নাটকীয় কিছু নয়।