পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৪৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

415 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড “গতকাল এই গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরীতে সফরকারী সাংবাদিকরা বলেছেন, গোলাগুলির ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং বিদ্রোহীরা যে বেসামরিক লোককে বিপুল সংখ্যায় হত্যা করেছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ” “সাংবাদিকরা ইস্পাহানী পরিবারের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির মালিকানাধীন পাটকলে একটি বিরাট কবর দেখতে পান, যেখানে ১৫২ জন অবাঙালী মহিলা ও শিশুকে একযোগে সমাহিত করা হয়েছে। “বুলেট ঝাঁঝরা এই ক্লাব কক্ষের মেঝেতে এখনো রক্তমাখা জামা-কাপড় ও বাচ্চাদের খেলনা ছড়িয়ে আছে। দায়িত্বশীল মহল বলেন, চট্টগ্রামে হাজার হাজার পশ্চিম পাকিস্তানী এবং ১৯৪৭ সাল থেকে পূর্ব পাকিস্তানে আগত হিন্দুস্তানী মুসলমানদেরকে ২৫শে মার্চ অর্থাৎ যেদিন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার আন্দোলন শুরু হয় সেদিন থেকে ১১ই এপ্রিল সেনাবাহিনী কর্তৃক শহর পুনর্দখল “স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিকদের একটি অগ্নিদগ্ধ ভবন দেখায়। তারা জানায়, বাঙালীরা এখানে পশ্চিম পাকিস্তানের সাডে তিন শ পাঠানকে পুড়িয়ে মেরেছে।” ‘ওয়াশিংটন পোষ্ট’, ওয়াশিংটন, ১২ই মে, ১৯৭১ ‘(এ্যাসোসিয়েটেড প্রেস রিপোর্ট) বন্দর শহর চট্টগ্রামে একটি পাটকলের চিত্তবিনোদন ক্লাবে রক্ত মাখানো খেলার পুতুল এবং মলমূত্র দেখতে পাওয়া যায়। বাঙালীরা এখানে ৮০ জন মহিলা ও শিশুকে হত্যা করে। উগ্র স্বদেশিকতার উন্মাদনায় বাঙালীরা কিছুসংখ্যক পশ্চিম পাকিস্তানীকে খুন করে।” বাঙালী বেসামরিক লোক এবং মুক্তি সৈন্যরা হিন্দুস্তানের বিহার রাজ্য থেকে আগত মোহাজিরদের পাইকারী হারে হত্যা করা শুরু করে এবং বাজার ও অন্যান্য এলাকায় ব্যাপকভাবে ছুরি মারা, গুলি চালনা এবং আগুন লাগানো প্রভৃতি হিংসাত্মক কাজ চালায় আর নারী ধর্ষণ ও লুটতরাজ করে।