পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৪৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

432 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড (ঙ) শাসনতান্ত্রিক অবস্থা থেকে এই ঘোষণাপত্রের ব্যবস্থাবলীতে স্থানান্তর সম্পর্কিত কোন অসুবিধা দূর করা- যেগুলো এই ঘোষণার প্রারম্ভের আগে পরিলক্ষিত হয়েছিল । (৩) প্রেসিডেন্ট উপ-অনুচ্ছেদ (২) এ উল্লিখিত বিষয়গুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এই ঘোষণাপত্র কার্যকরী চালু করার জন্যে প্রয়োজনীয় অন্য সবকিছু করার জন্যে ১১ সদস্যের একটি ‘বাস্তাবয়ন পরিষদ’ গঠন করবেন । এই পরিষদের ৬ জন সদস্য বাংলাদেশ সরকার, ২ জন পাঞ্জাব সরকার এবং সিন্ধু, উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ও বেলুচিস্তান সরকার একজন করে সদস্য মনোনয়ন করবেন। তফশীল ১। বিগত শাসনতন্ত্রের ৬৭ নম্বর অনুচ্ছেদ পরিবর্তিত হয়ে তা নিম্নরুপ হবে- “৬৭। কোন ব্যক্তি কোন রাজ্যের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হবেন না যদি তিনি জাতীয় পরিষদের একজন সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য না হন । ” ২। বিগত শাসনতন্ত্রের ৬৮ নম্বর অনুচ্ছেদ পরিবর্তিত হয়ে নিম্নরুপ হবে “৬৮ । ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার আগে বংলাদেশ সরকারের গভর্নর বাংলাদেশের হাইকোর্টের প্রধান বিচাপতির সামনে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের প্রত্যেকটি রাজ্যের গভর্ণর সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সামনে প্রথম তফশীলে উল্লিখিত এমন ধরনের শপথ গ্রহন করবেন যা তাঁর পদের জন্যে প্রযোজ্য হয়। ” ৩। বিগত শাসনতন্ত্রের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ পরিবর্তিত হয়ে নিম্নরুপ হবে-“৭০। বাংলাদেশ রাজ্যের জন্যে একটি আইনসভা থাকবে এবং তা বাংলাদেশ রাজ্য আইন পরিষদ নামে পরিচিত হবে । অনুরুপভাবে পাঞ্জাব, উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, সিন্ধু ও বেলুচিস্তান রাজ্যের প্রত্যেকটির জন্যে একটি করে আইন পরিষদ থাকবে এবং তা নিজ নিজ রাজ্যের রাজ্য পরিষদ নামে পরিচিত হবে । ৪। বিগত শাসনতন্ত্রের ৮০ নম্বর অনুচ্ছেদ পরিবর্তিত হয়ে নিম্নরুপ হবে-“৮০। (১) রাজ্য সরকার একটি উজির সভা নিয়ে গঠিত হবে এবং এই উজিরসভার প্রধান হিসেবে থাকবেন মুখ্য উজির; এ ছাড়া থাকবেন ডেপুটি উজিররা। এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত পদ্ধতিতে তাদের সবাইকে নিযুক্ত করা হবে। (২) শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থা সাপেক্ষে কোন রাজ্যের কার্যনির্বাহী ক্ষমতাকে রাজ্য সরকারের কর্তৃপক্ষের দ্বারা কিংবা অধীনে প্রয়োগ করা হবে । এই ধরনের ক্ষমতা শাসনতন্ত্র ও আইন অনুসারে সরাসরি কিংবা সংশ্লিষ্ট সরকারের অধীনস্থ অফিসার কর্তৃক প্রয়োগ করা হবে। (৩) একটি রাজ্য উজিরসভা রাজ্য আইন পরিষদের কাছে সমবেতভাবে জবাদিহি থাববে। (৪) (ক) গভর্নর রাজ্য আইনসভার একজন সদস্যকে মুখ্য উজির হিসেবে নিয়োগ করবেন যার প্রতি রাজ্য পরিষদের আস্থা রয়েছে। (খ) মুখ্য উজির নিয়োগের সময় রাজ্যআইন পরিষদের অধিবেশন না বসলে এবং বাতিল না হয়ে থাকলে তখন থেকে দু’মাসের মধ্যে অধিবেশনে মিলিত হওয়ার জন্যে বাহবান জানানো হবে । (৫) গভর্নর মুখ্য উজিরের পরামর্শ অনুযায়ী অন্যান্য উজির ও সহকারী উজির নিয়োগ করবেন। (৬) যদি কোন উজির পর পর ছ'মাসের কোন মেয়াদের জন্যে রাজ্য পরিষদের সদস্য না থাকেন তবে এই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর উজির বা সহকারী উজির থাকতে পারবেন না এবং