পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৪৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

443 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড [ जज्ञा তারিখ ও এলাকা ঘটনা ২৮শে মার্চ-১৩ই এপ্রিল ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট বিদ্রোহ করে । অধিকাংশ বিহারীকে ১৯৭১, ঠাকুরগাঁও। হত্যা করে নিশ্চিহৃ করে ফেলা হয় । যুবতী মেয়েদের অপহরণ করা হয় মেয়েদের ধর্ষণ করা এবং গর্ভবতী মেযেদের পেটে সঙ্গীনের খোঁচা মারা হয় । আর তারপর অবস্থায় মৃতদেহগুলিকে রাস্তায় টেনে নিয়ে বেড়ানোও হয়েছিলো। (প্রায় ৩ হাজার লোক নিহত হয়।) পার্বতীপুর, পঞ্চগড়, বিদ্রোহী ইষ্ট বেঙ্গল রাইফেলস এবং আওয়ামী লীগ কাউরকাই, ফুলবাড়ী ও হিলি। স্বেচ্ছাসেবকদের প্রধান লক্ষ্যই ছিলো রেল কলোনীগুলো। মেশিন গান এবং ছোট অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করা হয় । আর তারপরেই শুরু হয়ে যায় ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের তান্ডবলীলা। (যারা রক্ষা পেয়েছিলো তাদের হিসাবে ৫ হাজারের বেশী লোক নিহত হয়েছিলো।) রাজশাহী ২৮ শে মার্চ-১৬ই এপ্রিল পুলিশ এবং ইষ্ট পাকিস্তান রাইফেলস বিদ্রোহ করে। এদের ১৯৭১, রাজশাহী শহর। সঙ্গে এসে যোগ দেয় হিন্দুস্তানী অনুপ্রবেশকারীরা। শুরু হয়ে যায় বেপরোয়া হত্যাকাণ্ড । ১৯৭১ সালের ১৬ই এপ্রিল সেনাবাহিনী এসে শহরকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করলো। নাটোর এবং সারদা থেকেও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়া যায় । (প্রায় ২ হাজার লোক নিহত হয়েছিলো।) ২৭শে মার্চ-১৮ই এপ্রিল, হিন্দুস্তানী অনুপ্রবেশকারীদের সহযোগিতায় বিদ্রোহী ইষ্ট ১৯৭১ নবাবগঞ্জ। পাকিস্তান রাইফেলসের লোকেরা নবাবগঞ্জ থেকে জেল কার্যকলাপ এবং অগ্নিসংযোগ করায় উৎসাহিত করতে থাকে। একজন একাউন্টস এর কেরানী বাংলাদেশকে স্বীকার করতে পুঁতে, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। (নিহতদের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার বলে অনুমান করা হয়। ) কুমিল্লা মার্চ-এপ্রিল ১৪, ১৯৭১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিহারী পুরুষ, মেয়ে ও শিশুদের একত্রিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। জেল খানায় রাখা হয়। পরে ১৯৭১ সালের ১৩ই এপ্রিল ইষ্ট বেঙ্গল রাইফেলস-এর বিদ্রোহী দলের প্রধানের আদেশে স্বয়ংক্রিয় বন্দুকের সাহায্যে তাদেরকে হত্যা করা হয়। (প্রায় ৫শ লোককে নিহত করা হয়। )