পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৫২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

491 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড সরকারী কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশঃ জেলার সরকারী কর্মচারীদের প্রতি একটি পৃথক সমাবেশে গভর্ণর বক্তৃতা দেন। গভর্নর সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা জানার উদ্দেশ্যে তাদের কাছে যাওয়া এবং যতটুকু সম্ভব দ্রুতগতিতে এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করে সেসব অসুবিধা দূর করার জন্য সরকারী কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছেন । তিনি বলেন যে, কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠাই হলো অফিসারদের দায়িত্ব পালন মূল্যায়নের মাপকাঠি । দিনাজপুরে গভর্নরঃ পরে গভর্নর বিমানযোগে দিনাজপুরে যান তিনি সেখানে শান্তি কমিটির সদস্যবৃন্দের ও স্থানীয় অফিসারদের সাথে বৈঠকে মিলিত হন । গত মার্চে গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহনের পর এটাই হলো দিনাজপুরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খানের প্রথম সফর ! সেনাবাহিনী এই জেলাটি উদ্ধারের আগে দুষ্কৃতকারীদের হাতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গভর্নর তাদের জানান তার সমবেদনা ৷ তিনি ক্ষত আরোগ্য করার এবং পাকিস্তনের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি হাসিলের উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ কঠোর পরিশ্রম করার জন্য জনগণকে উপদেশ দেন । শান্তি কমিটির প্রেসডেন্ট গভর্নরকে জানান যে, সামরিকও বেসামরিক কর্তৃপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টার সুফল পাওয়া গেছে । জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে এবং জনগণের আস্থাও পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গভর্নর শান্তি কমিটির সদস্যদের সাথে তাদের কতিপয় স্থানীয় সমস্যা নিয়ে আলাচনা করেন এবং সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য তারা যে সুপারিশ করেছেন সহানুভূতির সাথে তা বিবেচনা করেন। গতকাল বুধবার সকালে দিনাজপুরে সংঘটিত বাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশ্যে গভর্নর দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করেন । একটি বাস বিরোল সীমান্ত থেকে দেশে ফিরে আসা একদল পাকিস্তানীকে দিনাজপুরে অভ্যর্থণা শিবিরে নিয়ে আসছিল । ভারতীয় এজেন্টদের পুতে রাখা রাস্তার মাইনের আঘাতে বাসটি উড়ে গেছে। গভর্নর আহত বাস যাত্রীদের দেখার জন্য বেসামরিক হাসপাতালে যান। গভর্নর গতকাল বিকালে ঢাকায় ফিরে এসেছেন ।