পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৬৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

631 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড পাকিস্তান জামাতে ইসলামীর ডেপুটি আমীর মওলানা আব্দুর রহিম বিশ্বের মুসলমান, পাকিস্তানের জনগণ, বিশেষ করে জামায়াতের মন্ত্রিদ্বয়ের জন্য দোয়া করে মোনাজাত করেন। -দৈনিক পাকিস্তান, ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন সাধারণভাবেই প্রয়োগ করা উচিত -আসগর খান (ষ্টাফ রিপোর্টার) তাহরিক-ই-ইশতেকলাল পার্টি প্রধান অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল আসগর খান প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের সকল এম,এন,এ ও এম,পিএ,দের ক্ষেত্রে কার্যকরী করার আহবান জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে জনাব আসগর খান তাঁর দলের পক্ষ থেকে উক্ত সুপারিশের কথা ঘোষণা করে বলেন, সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন সাধারণভাবেই প্রয়োগ করা উচিত এবং পদমর্যাদা ও অবস্থান নির্বিশেষে আওয়ামী লীগের সকল এম,পি,এ ও এম, এন, এ-দের এই ক্ষমায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। তিনি বলেন, এই সুপারিশ যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে এই প্রদেশে যে সকল সদস্যের মৃত্যুতে পরিষদের আসন খালি হয়েছে সে সকল আসন ব্যতীত আর কোন আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজন হবে না। তাহরিকের এই সুপারিশ সরকার যদি গ্রহণ না করেন তখন উপ-নির্বাচনে অংশ গ্রহণ সম্পর্কে তার দল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জনাব আসগর খান জানান। সেপ্টেম্বর মাসে প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার উল্লেখ করে জনাব আসগর খান বলেন, এটা তাহরিক প্রধান এখানে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও শান্তি কমিটির সদস্যগণ কর্তৃক পল্লী এলাকার জনগণকে হয়রানি করা সম্পর্কে অভিযোগ করে বলেন আমি এখানে অবস্থানকালে এ সম্পর্কে যে রিপোর্ট পেয়েছি তা সত্য। পল্লী এলাকায় জনগণকে ব্যক্তিগত শত্রতা ও তাদের রাজনৈতিক মতমতের জন্য হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের উপর নিপীড়ন চালান হচ্ছে। তাদের যেন আর হয়রানি না করা হয় সে সম্পর্কে তিনি সরকারের নিকট আহবান জানান। মন্ত্রীদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের অনুমতি দান সম্পর্কিত আদেশ সম্পর্কে জনাব আসগর খান বলেন, এতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা রয়েছে। মন্ত্রীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিলে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। পূর্ব পাকিস্তানে মন্ত্রিসভা গঠন সম্পর্কে তাহরিক প্রধান বলেন, আমরা দেশে গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে আসছি। গণতন্ত্রের সাধারণ বিধান হচ্ছে জনগণের নির্বচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়া। পূর্ব পাকিস্তানে যথেষ্ট পরিমাণে নির্বাচিত সদস্য রয়েছে। কিন্তু তাদের পরিবর্তে নির্বাচনে পরাজিত ব্যক্তিদের হাতে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এতে গণতন্ত্রকে অস্বীকার করা হচ্ছে। যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরই হচ্ছে ন্যায়সংগত বিধান; যারা পরাজিত হয়েছেন তাদের হাতে নয়। পূর্ব পাকিস্তানে নির্বাচিত সদস্যের অভাব নেই। এরূপ বহু সদস্য আছেন যাদের আসন বহাল রাখা হয়েছে এবং যারা পাকিস্তানে বিশ্বাসী। শাসনতন্ত্র প্রণয়ন সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পরিষদেরই শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করা উচিত।