পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৬৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

650 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড জনাব ওয়াজিউল্লাহ খান, মোহাম্মদ আলী সরকার, মুস্তাফিজুর রহমান, মওলানা নুরুজ্জামান ও আজিজুর রহমান খান এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। জনাব আবুল ফয়েজ বোখারী, আব্দুর রশীদ ও ডক্টর আব্দুর রফিককে সদস্য কোঅপট করা হয়। -দৈনিক পাকিস্তান, ১৬ এপ্রিল, ১৯৭১ শান্তি কমিটির নতুন নামকরণ গত বুধবার শান্তি কমিটি নামে পরিচিত নাগরিক শান্তি কমিটির এক সভায় সংস্থার নতুন নামকরণ করা হয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের জন্য কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি এবং সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানকে এই কমিটির কাজের আওতায় আনা হয়েছে। এপিপি পরিবেশিত এই খবরে বলা হয় যে, কমিটি প্রয়োজন মতো আরো সদস্য কো-অপট করতে পারবেন। জনসাধারণ যাতে দ্রুত প্রদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য তাদের পেশার কাজ শুরু করতে পারেন তার জন্য কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি প্রদেশে সত্বর স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। কমিটি তাদের লক্ষ্য পূরণের জন্য জেলা ও মহকুমা পর্যায়ে ইউনিট গঠনের সিদ্ধন্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি তাদের কাজ দ্রুত ও যথোপযুক্তভাবে চালিয়ে যাওয়ার ও তাদের নীতি পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে কার্যকরী করার জন্য নিম্নলিখিত ২১ জন সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করেছেঃ ১। আহবায়ক সৈয়দ খাজা খয়েরউদ্দিন ২ জনাব এ কিউ এম শফিকুল ইসলাম ৩। অধ্যাপক গোলাম আজম ৪। জনাব মাহমুদ আলী ৫। জনাব আবদুল জব্বার খদ্দর ৬ মওলানা সিদিক আহমদ ৭। জনাব আবুল কাসেম ৮। জনাব মোহন মিয়া ৯। মওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মাসুম ১০। জনাব আবদুল মতিন ১১। অধ্যাপক গোলাম সরওয়ার ১২। ব্যারিস্টার আখতার উদ্দিন ১৩। পীর মহসীন উদ্দিন ১৪। জনাব এ এস এম সোলায়মান ১৫। জনাব এ কে রফিকুল হোসেন ১৬। জনাব নূরুজ্জামান ১৭ জনাব আতাউল হক খান ১৮। জনাব তোয়াহা বিন হাবিব ১৯৷ মেজর আফসারউদ্দিন ২০। দেওয়ান ওয়ারাসাত আলী ২১। হাকিম ইরতেয়াজুর রহমান। -দৈনিক পাকিস্তান ১৬ এপ্রিল, ১৯৭১ শান্তি কমিটির সংযোগ রক্ষাকারী নিয়োগ এপিপির খবরে প্রকাশ, কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি ঢাকা নগরীর ইউনিয়ন ও মহল্লাগুলোতে শান্তি কমিটি সংগঠনের জন্য আহবায়ক মনোনীত করেছে। অনেক স্থানে এর মধ্যেই ইউনিট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইউনিট কমিটিগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে সকল রকমের তথ্য ঢাকায় মগবাজারস্থ ৫ নম্বর এলিফ্যান্ট লেনে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির অফিসে অবশ্যই পৌছাতে হবে। জনগণের সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির অফিস ২৪ ঘণ্টার জন্যই খোলা থাকবে এবং জনগণের সুবিধ অসুবিধা দেখার জন্য কমিটির দফতর সম্পাদক জনাব নূরুল হক মজুমদার এডভোকেটকে অফিসে পাওয়া যাবে। প্রদেশের সর্বত্র শান্তি কমিটি সংগঠনের পরিকল্পনা ও কর্মসূচী প্রণয়নের জন্য কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি রোজই বৈঠকে মিলিত হচ্ছে। কমিটি স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ফিরে যাওয়া এবং সব স্থানে ইউনিট শান্তি কমিটি গঠনে জনগণকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্য জেলা ও মহকুমা পর্যায়ে নেতা ও কর্মী প্রেরণের সিদ্ধন্ত নিয়েছে। কমিটি জনগণের নিকট থেকে সমস্যা ও অসুবিধা সম্পর্কে তথ্য গ্রহণ ও তা লাঘবের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সামরিক সেক্টরের সাহায্য লাভের ব্যবস্থার উদ্দেশ্য কমিটি সদস্যদের মধ্য থেকে সংযোগ রক্ষাকারী