পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৬৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

656 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড তিনি বলেন, পাকিস্তান ইসরাইলের মতো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও গণভোটের মাধ্যমে। কাজেই গণতান্ত্রিক উপায়েই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এই প্রসঙ্গে পিডিপি কর্মসূচীর উল্লেখ করে তিনি বলেন যে, আইয়ুব খানের এক নায়কত্বের সময় আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে সমস্যা সমাধানের কর্মসূচী দিয়েছিলাম এবং আইয়ুব খান আমাদের দাবী মেনে নিতে সম্মতও হয়ে ছিলেন। কিন্তু সে সময় জুলাও পোড়াওর আন্দোলন শুরু হলে আমাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় এবং পুনরায় সামরিক শাসন জারী করা হয়। তিনি বলেন, আমরা কিছুতেই হিন্দুর গোলামী কবুল করবো না। কায়েদে আজম, শেরেবাংলা, নাজিম উদ্দিন ও সোহরাওয়াদী আমাদের জন্যে যে আদর্শ রেখে গেছেন আমরা তা রক্ষা ও বাস্তাবায়িত করবো। কারণ পাকিস্তান ছিল ভারতের ১২ কোটি মুসলমানের ফয়সালা। একে আমরা ধ্বংস হতে দিতে পারি না। জনাব শফিকুল ইসলাম ভাবী শাসনতন্ত্রে শক্তিশালী এককেন্দ্রিক সরকারের ব্যবস্থা রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারকে মজবুত রাখা হলে এবং প্রদেশগুলোর সম্পদ ন্যায্যভাবে ব্যয় করা হলে পাকিস্তান শক্তিশালী হবে। এই ব্যবস্থায় আঞ্চলিকতার প্রবনতা কেটে যাবে। এছাড়া তিনি পাকিস্তানের উভয় অংশে দারুল হুকুমত প্রতিষ্ঠার ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার সুপারিশ করেন। নতুন শাসনতন্ত্রের জন্যে মরহুম লিয়াকত আলী খানের আদর্শ প্রস্তাবকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণের জন্যেও তিনি সুপারিশ করেন। -দৈনিক পাকিস্তান ১৬ আগষ্ট,১৯৭১ কার্জন হলে মন্ত্রীদের সম্বর্ধনা পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্নের ভারতীয় ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করার আহবান (স্টাফ রিপোর্টার) গতকাল বুধবার গভর্নরের মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের সম্মানার্থে কার্জন হলে আয়োজিত এক সম্বর্ধনা জনসাধারণের প্রতি আহবান জানানো হয়। এছাড়া সভায় পূর্ব পাকিস্তানী শরণার্থীদের স্বদেশ ফেরার পথে বাধা সৃষ্টি থেকে ভারতকে নিবৃত্ত করার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। দিলকুশা ইউনিয়ন শান্তি কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সম্বর্ধনা সভায় পূর্ব পাকিস্তান জামাতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক গোলাম আজম সভাপতিত্ব করেন এবং প্রাদেশিক শিক্ষামন্ত্রী জনাব আববাস আলী খান, রাজস্ব মন্ত্রী জনাব মওলানা এ কে এম ইউসুফ, শ্রম ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী জনাব এ,এস,এম সোলায়মান এবং সাহায্য ও পূর্নবাসন দফতরের মন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল হক উপস্থিত ছিলেন।... -দৈনিক পাকিস্তান, ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১।