পাতা:বাংলাদেশ কোড ভলিউম ৩০.djvu/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e$ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ ○>> (২) যদি মূল্যমানের ভিত্তিতে তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাসম্পন্ন পাওনাদারগণ অথবা উক্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতাসম্পন্ন সদস্যগণ উক্ত সভায় ব্যক্তিগতভাবে বা প্রকসির মাধ্যমে উপস্থিত থাকিয়া আপোষ-নিম্পত্তি বা বন্দোবস্তেতা সম্মত হন, এবং যদি উক্ত আপোষ-নিম্পত্তি বা বন্দোবস্ততা আদালত কর্তৃক অনুমোদিত হয়, তাহা হইলে সকল পাওনাদার বা পাওনাদারগণের সকল শ্রেণী বা ড়েগত্রমত সকল সদস্য বা সদস্যগণের সকল শ্রেণী অথবা উক্ত কোম্পানী অবলুপ্ত হইতে থাকিলে উহার লিকুইডেটর ও প্রদায়কগণের উপর উক্ত আপোষ-নিস্পত্তি বা বন্দোবস্ত বাধ্যতামূলক হইবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীনে প্রদত্ত কোন আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল না করা পর্যন্ত উক্ত আদেশ কার্যকর হইবে না; এবং এইরূপ প্রত্যেকটি আদেশের অনুলিপি উক্ত আদেশ প্রদত্ত হওয়ার পর, কোম্পানীর সংঘস্মারকের ইস্যুকৃত প্রত্যেক অনুলিপির সহিত সংযোজিত করিয়া দিতে হইবে অথবা কোম্পানীর সংঘস্মারক না থাকিলে যে দলিল দ্বারা কোম্পানী গঠিত হইয়াছে বা যে দলিলে উহার গঠন বর্ণিত হইয়াছে সেই দলিলের সংযোজিত করিয়া দিতে হইবে। co (৪) যদি কোন কোম্পানী (৩) উপ-ধারা পালনে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে উক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে; এবং উহার প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত ব্যর্থতার জন্য দায়ী তিনিও, একই দণ্ডদলীয় হইবেন। (৫) আদালত, এই ধারার অধীনে উহার নিকট কোন আবেদন পেশ হওয়ার পর তাহা চূড়ান্তাভাবে নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্তা, কোন কোম্পানীর বিরম্নদ্ধে দায়েরকৃত যে কোন মামলা বা বিচার কার্যধারার শুরম্ন বা পরিচালনা স্থগিত রাখিতে পারিবে এবং এইরূপ স্থগিতাদেশ দানের ড়েগত্রে উহার বিবেচনামতে উপযুক্ত শর্তও আরোপ করিতে পরিবে। -

(৬) এই ধারায় “কোম্পানী” বলিতে এই আইনের অধীনে অবলুপ্তিযোগ্য কোন কোম্পানীকে বুঝাইবে এবং ‘বন্দোবস্ততা বলিতে বিভিন্ন শ্রেণীর শেয়ার একত্রীকরণের মাধ্যমে বা শেয়ারসমূহকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্তিকরণের মাধ্যমে বা উভয়বিধভাবে কোম্পানীর শেয়ার মূলধনের পুনর্বিন্যাস অন্তর্ভুক্ত হইবে: এবং এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, জামানতবিহীন অর্থাৎ ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত নয় এইরূপ পাওনাদারগণের মধ্যে যাহারা মামলা দায়ের করিয়া বা এই শ্রীক্তাক লে। (৭) কোন আদালত এই ধারার অধীনে আদি এখতিয়ার (original jurisdiction) প্রয়োগক্রমে কোন আদেশ প্রদান করিলে উহার বিরম্নদ্ধে সেই আদালত বা কর্তৃপড়েঙ্গর নিকট আপীল দায়ের করা যাইবে যে আদালত বা কর্তৃপড়ঙ্গ প্রথমোক্ত আদালতের সিদ্ধান্তোর বিরম্নদ্ধে আপীল শুনানীর এখতিয়ার রাখে।