পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brö शांदलांग्न वगcनं দুবরাজপুর হইতে ২ মাইল পশ্চিমে ফুলবের গ্রামে দস্তিন্‌ দীঘি নামক সুবৃহৎ পুষ্করিণীর তীরে দন্তেশ্বরীর মন্দির সুপ্রসিদ্ধ ; ইহা একটি পীঠস্থান এবং সতীর দস্ত এ স্থানে পড়িয়াছিল বলিয়া কথিত । প্রবাদ দীঘিটি খগাদিত্য রাজা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয় ; তাহার প্রতিষ্ঠিত খগেশ্বর শিব পার্শ্ববর্তী গ্রাম খাগড়ায় দৃষ্ট হয়। দুবরাজপুর হইতে ৫ মাইল দক্ষিণে জোফলাই গ্রামে পদকৰ্ত্ত জগদানন্দের নিবাস ছিল ; বৈষ্ণবদাসের পদকল্পতরুতে তাহার কয়েকটি পদ আছে। ১৭৮২ খৃষ্টাব্দে তাহার মৃত্যু হয়। তাহার মৃত্যু তিথিতে এই গ্রামে প্রতি বৎসর একটি মহোৎসব হয়। শিউড়ী--অগুলি জংশন হইতে ৩১ মাইল দূর। ইহা বীরভূম জেলার সদর শহর । শহরের অনতিদূরে ময়ূরাক্ষী নদী প্রবাহিত । এই স্থানটি বিশেষ স্বাস্থ্যকর এবং পান্ধী, নানাপ্রকার কাঠের দ্রব্য ও উৎকৃষ্ট মোরববার জন্য বিখ্যাত। শহরের সোনাতোর মহল্লার কারুকার্য্যখচিত রাসমঞ্চটি এখানকার দ্রষ্টব্য বস্তু । দেবমূৰ্ত্তি ইহাতে খোদিত আছে। শিউড়ীর নিকটবৰ্ত্তী কালীপুর করিধা নামক পল্লীতে তসর ও বাপ্তার কাপড় প্রস্তুত হয়। এই গ্রামে প্রতি বৎসর গোপাষ্টমী উপলক্ষে একটি প্রকাণ্ড মেলা বসে। এ অঞ্চলের যাদুপটুয়া সম্প্রদায় পুরাকাল হইতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চিত্র আঁকিয়া আসিতেছেন। কাহারও মৃত্যু হইলে তাহার ছবি আঁকিয়া আস্ত্রীয়দের নিকট গিয়া ইহার অর্থ গ্রহণ করেন। বাঘ, সিংহ প্রভূতি প্রাণী, কৃষ্ণলীলা, রামলীলার ছবিও ইহার আঁকেন। বীরসিংহপুর—শিউড়ীর ছয় মাইল পশ্চিমে বীরসিংহপুর গ্রামের পূর্বভাগে জঙ্গলাকীর্ণ ধ্ৰুংসস্তুপ বিদ্যমান। ইহা রাজা বীরসিংহের রাজপ্রাসাদের ধংসাবশেষ বলিয়া পরিচিত। কথিত আছে, প্রায় আট শত বৎসর পূবেৰ্ব পশ্চিম অঞ্চল হইতে বীরসিংহ, চৈতন্যসিংহ ও ফতেসিংহ নামক তিন রাজপুত্র মুসলমান হস্তে তাঁহাদের পিতার মৃত্যু ঘটিবার পর এদেশে আসিয়া আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং যৌবনে তাহারা এ অঞ্চলের আদিম অধিবাসিগণকে পরাজিত করিয়া তিন ভ্রাতা তিনটি পৃথক রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। বীরসিংহ স্বীয় নামানুসারে রাজধানীর নাম বীরসিংহপুর রাখেন। কেহ কেহ বলেন বীরসিংহ জরাসন্ধ বা তাহার পুরোহিতের বংশধর। বীরসিংহ তাহার রাজধানীতে যে কালীমূত্তির প্রতিষ্ঠা করেন লোকে অদ্যাপি তাহা দেখাইয়া থাকে। তিনি বিশেষ ধৰ্ম্মপরায়ণ ও বীর ছিলেন বলিয়া তাহার সম্বন্ধে নানারূপ প্রবাদ প্রচলিত আছে। কথিত আছে, তিনি প্রত্যহ বেগবান অশ্বে আরোহণ করিয়া বীরসিংহপুর হইতে কাটোয়ায় গিয়া গঙ্গাস্নান ও আহ্নিক করিয়া ফিরিয়া আসিতেন। তিনি এত বলশালী ছিলেন যে স্নানের সময় তৈল মাখিবার জন্য দুই হাতে সরিষা পিষিয়া তৈল বাহির করিতেন। স্নান করিয়া ফিরিবার সময় তিনি পথে নোয়াডিহি নামক স্থানে বিশ্রাম করিতেন বলিয়া তথাকার একটি উচচ ভূখণ্ডকে লোকে আজও বিশ্রামপীঠ বলে। ১২২৬ খৃষ্টাব্দে বাংলার সুবাদার গিয়াসৃউদদীন বীরসিংহের রাজ্য আক্রমণ করেন। কিন্তু বীরসিংহ, চৈতন্যসিংহ ও ফতেসিংহ ভ্রাতৃত্ৰয়ের বীরবিক্রমে তিনি পরাস্ত হন। প্রবাদ, পরে গিয়াসৃউদ্দীন কুটবুদ্ধির আশ্রয় লইয়া এই ভ্রাতৃত্ৰয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটান এবং ফতেসিং