পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NOO বাংলায় ভ্রমণ نفس হইতেই গ্রামের নাম অম্বিকা হয়। গ্রামের মধ্যভাগে আজিও অম্বিকা পুষ্করিণী নামে একটি জল। ও ঋষি প্রতিষ্ঠিত সিদ্ধেশ্বরী বিগ্রহ বৰ্ত্তমান আছে। - বাঘনাপাড়া—ব্যাণ্ডেল জংশন হইতে ২৯ মাইল। ইহাও একটি বৈষ্ণব শ্রীপটি। এখানে গোপেশ্বর নামক এক প্রাচীন শিবলিঙ্গ ও শ্রীরামকৃষ্ণ জীউর মন্দির আছে। পরম বৈষ্ণব রামচন্দ্র গোস্বামীর তিরোভাব উপলক্ষে প্রতিবৎসর মাঘ মাসের কৃষ্ণ তৃতীয় তিথিতে ও রামকৃষ্ণ দোলযাত্রা উপলক্ষে এখানে বহু যাত্রীর সমাগম হয়। শিবরাত্রির দিন গোপেশুর শিবের মন্দিরেও বহু ভক্তের আগমন হয়। নিত্যানন্দের পত্নী জাহ্নবাদেবীর পোষ্যপুত্র রামচন্দ্র বা রামাই গোঁসাই বৃন্দাবন হইতে কানাই-বলাই বা রামকৃষ্ণ বিগ্রহ আনিয়া এই স্থানে প্রতিষ্ঠা করেন। “বংশী শিক্ষা” গ্রন্থে বর্ণিত আছে যে এই স্থানে জঙ্গলের মথ্যে একটি বাঘ বাস করিত । রামচন্দ্র গোস্বামী এই বাঘকেও হরিনাম দিয়া উদ্ধার করেন এবং বাঘের নামানুসারে গ্রামের নাম বাঘনাপাড় রাখেন । * সমুদ্রগড়—ব্যাণ্ডেল জংশন হইতে ৩৬ মাইল। ইহা প্রাচীন রাঢ়ের অন্তর্গত একটি প্রসিদ্ধ স্থান। পূবেৰ্ব ইহা ভাগীরথীর তীরে অবস্থিত ছিল। এখন ভাগীরথী দূরে সরিয়া গিয়াছে। কেহ কেহ মনে করেন যে মহাভারতোক্ত বঙ্গরাজ সমুদ্রসেন এই স্থানে রাজত্ব করিতেন। আবার কাহারও কাহারও মতে গুপ্তবংশীয় সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের সহিত এই স্থানের সম্বন্ধ ছিল ; এখানে তাহার গড় ও স্থানীয় রাজধানী ছিল এবং কাহারও কাহারও মতে মহাকবি কালিদাস ইহার নিকটেই . বাস করিতেন। মকুট রায় নামে সমুদ্রগড়ের একজন ক্ষমতাশালী ব্রাহ্মণ রাজার প্রসিদ্ধি আছে। পাঠান জায়গীরদারদের সহিত তাহার বহুবার যুদ্ধ হয় এবং শেষে তিনি পরাজিত ও নিহত হন। মোটের উপর স্থানটি যে খুব প্রাচীন তাহ দেখিলেই বুঝিতে পারা যায়। চৈতন্য ভাগবত, কবিকঙ্কণ চণ্ডী প্রভৃতি গ্রন্থে এই স্থানের উল্লেখ আছে। অনেকে অনুমান করেন যে বাংলা দেশের আদি সারস্বত ব্ৰাহ্মণগণ সপ্তশতী নামক পরগণায় বাস করিতেন। সমুদ্রগড়ের বর্তমান পরগণা সাতসইকা ও সপ্তশতী অভিন্ন বলিয়া অনেকের অভিমত । - নবদ্বীপধাম—ব্যাণ্ডেল জংশন হইতে ৪১ মাইল দূর। স্টেশন হইতে নবদ্বীপ শহর প্রায় দুই মাইল। স্টেশনে ঘোড়ার গাড়ী পাওয়া যায়। আশে পাশের সমস্ত স্থান বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত হইলেও নবদ্বীপ শহরটি গঙ্গার পূর্ববতীরবর্তী নদীয়া জেলার অধীন। বস্তুতঃ নবদ্বীপ হইতেই “ নদীয়া ’ নামের উৎপত্তি। সুতরাং নবদ্বীপকে বাদ দিয়া নদীয়া জেলা হইতে পারে না। নবদ্বীপ বাংলার শ্রেষ্ঠ গৌরবের স্থান, কিন্তু ইহার প্রাচীনত্ব সম্বন্ধে তাদৃশ প্রমাণাদি নাই । পুরাণ, রামায়ণ ও মহাভারত প্রভৃতিতে ইহার উল্লেখ নাই । খ্রীষ্টীয় একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীতে সেনরাজগণের গঙ্গাবাস স্থান স্বরূপ নবদ্বীপের প্রথম পরিচয় পাওয়া যায়। ইহার নামকরণ সম্বন্ধেও নানা মত প্রচলিত আছে । কেহ বলেন গঙ্গার গর্ভ হইতে নূতন উথিত হওয়ায় ইহার নাম হয় নূতন বা নবদ্বীপ ; কাহারও কাহারও মতে জনৈক তান্ত্ৰিক সন্ন্যাসী এই দ্বীপে রাত্রিকালে নয়টি আলোক BBB BBBBB BBBB BBB BBB SBBBBS B SBBBS BB BBB S BBBBBB