পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ব ভারত রেলপথে לסכ ड अत्र अडविड हि अविज खून नवाई दीप्यत्र गन? नश्या आईड बनिया देशव नाम इव দীপ। নবদ্বীপের উপর র্যাহাঁদের দাবী সবর্বাপেক্ষা অধিক সেই বৈষ্ণবগণ এই শেষোক্ত দুই গ্রহণ করিয়াছেন । "নবদ্বীপ পরিক্রম।" প্রণেতা নরহরি চক্রবর্তী लेिशिंग्नां८छ्न “ নদীয়া পৃথক গ্রাম নয়। নবদ্বীপে নবদ্বীপ বেষ্টিত যে হয়।” এই নয়টি দ্বীপের পরিচয় প্রসঙ্গে তিনি লিখিয়াছেন— “ গঙ্গা পূর্ব পশ্চিম তীরেতে দ্বীপ নয় । পূর্বে অন্তদ্বীপ শ্ৰীমন্ত দ্বীপ চতুষ্টয় । কোলদ্বীপ ঋতু জহ মোদক্রম আর । রুদ্রদ্বীপ এই পঞ্চ পশ্চিমে প্রচার ।” বর্তমান নবদ্বীপের আশে পাশে ও গঙ্গার পূর্বতীরে অবস্থিত কতিপয় গ্রামকে প্রাচীন নয়টি দ্বীপের সহিত অভিন্ন বলিয়া মনে করা হয় এবং এই সকল স্থান প্রদক্ষিণ করিয়া ভক্ত বৈষ্ণবগণ “নবদ্বীপ পরিক্রমা” উৎসব সম্পন্ন করেন । সেন রাজগণের সময় হইতেই নবদ্বীপ একটি সমৃদ্ধ নগরে পরিণত হয় এবং এখানকার ব্ৰাহ্মণগণের পাণ্ডিত্য খ্যাতি বহুদূর পর্য্যন্ত বিস্তৃত লাভ করে । চৈতন্য দেবের আবির্ভাব কালে নবদ্বীপ অতি সমৃদ্ধ জনপদ ছিল । “চৈতন্য ভাগবত ” কার বৃন্দাবন দাস লিখিয়াছেন, “ নবদ্বীপ হেন গ্রাম ত্রিভুনে নাই । যহি অবতীর্ণ হৈলা চৈতন্য গোসাই ।” “ নবদ্বীপের ঐশ্বৰ্য্য কে বণিবারে পারে । একে গঙ্গাঘাটে লক্ষ্য লোক স্নান করে ।” বাসুদেব সাবর্বভৌম, রঘুনাথ শিরোমণি, মথুরানাথ তর্কবাগীশ, সমাৰ্ত্ত রঘুনন্দন, রামভদ্র সাবর্বভৌম, ভবানন্দ সিদ্ধাস্তবাগীশ, রুদ্ররাম তর্কবাগীশ, বিশ্বনাথ ন্যায়পঞ্চানন, জগদীশ তর্কালঙ্কার, রঘুদেব ন্যায়ালঙ্কার, রামভদ্র ন্যায়ালঙ্কার, রামনাথ তর্কসিদ্ধান্ত, কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ, প্রভৃতি ন্যায়, সমৃতি পঞ্চতন্ত্র শাস্ত্রজ্ঞ জগজয়ী পণ্ডিতগণের অধ্যাপনা ও জ্ঞান চচর্চার জন্য নবদ্বীপের খ্যাতি উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের বহুদূর পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল । বহুদূর দেশ হইতে ছাত্রগণ জ্ঞান লাভের জন্য নবদ্বীপে আসিত। এই সকল বিখ্যাত পণ্ডিতগণের অসাধারণ শক্তি সম্বন্ধে নানারূপ কাহিনী আছে । কথিত আছে, সবর্বপ্রথম একজন যোগী নবদ্বীপের গঙ্গার চরে একটি কুটিরে কয়েকটি ছাত্রকে শিক্ষাদান আরম্ভ করেন । ইহার ছাত্রদের মধ্যে শঙ্কর তর্কবাগীশ ও ব্যায়াপ্তি শিরোমণি ন্যায় শাস্ত্রের বহু গ্রন্থের রচয়িতা । ইহাদের পর খৃষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে মহেশ্বর বিশারদের পুত্র বাসুদেব মিথিলার বিখ্যাত পণ্ডিত ও অদ্বিতীয় নৈয়ায়িক পক্ষধর মিশ্রের নিকট ন্যায়শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়া শলাকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পক্ষধর মিশ্র তৎকালে জগজয়ী পণ্ডিত ছিলেন । তাহার প্রকৃত নাম ছিল জয়ধর মিশ্র তর্কালঙ্কার ; শাস্ত্রীয় বিচারে তিনি যে পক্ষ অবলম্বন করিতেন সেই পক্ষই জয়ী