পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

も बां२लांध्र अश* নাম সৈফগল্প। কথিত আছে প্রায় পৌনে দুইশত বৎসর পূবেৰ পুণিয়ার নবাব লৈফ খাঁ কর্তৃক এখানকার গঞ্জটি প্রতিষিঠত হয়। - কাটিহার একটি বড় জংশন স্টেশন। এখানে পূর্ব-বঙ্গ রেলপথের সহিত বাংলা ও উত্তরপশ্চিম (বেঙ্গল এণ্ড নৰ্থ ওয়েষ্টার্ণ) রেলপথের সংযোগ ঘটিয়াছে। পূর্ববঙ্গ রেলপথের এক শাখা এই স্থান দিয়া গঙ্গাতীরবর্তী মণিহারিঘাট পর্য্যস্ত গিয়াছে এবং অপর একটি শাখা লাইন ৬৭ মাইল দূরবর্তী নেপালরাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত যোগবণী পৰ্য্যস্ত গিয়াছে। এই শাখাপথে পুণিয়া জংশন, জালালগড়, আরারিয়া কোর্ট, ফরবেশগঞ্জ ও যোগবণী উল্লেখযোগ্য স্টেশন। পূৰ্ণিয় জংশন হইতে আর একটি শাখা লাইন ভাগলপুর জেলার অন্তর্গত মুরলীগঞ্জ ও বিহারীগঞ্জ পর্য্যন্ত গিয়াছে। মণিহারি ঘাট—কাটিহার জংশন হইতে ১৭ মাইল দূর। এই স্থানটি গঙ্গাতীরে অবস্থিত। এখানে পূর্ব-ভারত রেলপথের খেয়া জাহাজে গঙ্গা পার হইয়া পূর্ব-ভারত রেলপথের সকরিগলিঘাট স্টেশনে যাওয়া যায়। গ্রহণ, বারুণী, কাত্তিকী-পূর্ণিমা, মাৰী-পণিমা ও শিবরাত্রির সময় গঙ্গা স্নানের জন্য মণিহারি ঘাটে বহু যাত্রীর সমাগম হয় | মণিহারির নিকটে ছোট পাহাড় নামে একটি পাহাড় আছে। ইহার উচচতা আড়াই শত ফুটের অধিক নহে। এই পাহাড়ে কতকগুলি কারুকার্য্য খচিত প্রস্তর স্তম্ভ দৃষ্ট হয়। কেহ কেহ অনুমান করেন যে পূবেৰ্ব এই পাহাড়ের উপর হয়ত কোন হিন্দু দেবমন্দির ছিল। এখন এই পাহাড়ের উপর একজন মুসলমান পীরের সমাধি আছে। মনিহারির নিকটবৰ্ত্তী বলদিয়াবাড়ী নামক গ্রামের প্রাস্তরে ১৭৫৬ খৃষ্টাব্দে বাংলার সিংহাসন লইয়া সিরাজউদৌলা ও তাঁহার মাসতুতো ভাই পূর্ণিয়ার নবাব শওকত জঙ্গের মধ্যে এক যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে সিরাজউদৌলার বাঙ্গালী সেনাপতি মোহনলাল ও শ্যামসুন্দর প্রভূত পরাক্রম প্রদর্শন করেন। যুদ্ধে শওকত জঙ্গের মৃত্যু ঘটে। পুণিয়া জংশন—কাটিহার জংশন হইতে যোগবণী শাখা পথে ১৭ মাইল দূর। জেলার সদর শহর পূর্ণিয় সরুয়া নদীর পূরবতীরে অবস্থিত। মুসলমান শাসনকালে পূর্ণিয়া প্রথমে একটি "সরকার ” ও পরে মুঘলযুগে “ ফৌজদারির ” সদর শহর ছিল। সেই সময়ের কতকগুলি ভগ্ন অট্টালিকা ও ভগ্নপ্রায় মসজিদ পূর্ণিয়া শহরের মিয়াবাজার, খলিফা চকু, বেগম দেউড়ি ও লালবাগ প্রভৃতি স্থানে দেখিতে পাওয়া যায়। পুরাতন পূর্ণিয়া শহর নদীর অপর পারে ছিল। নদীর উপরকার একটি সেতুর দ্বারা এই দুই শহর পরস্পরের সহিত সংযুক্ত। পূৰ্ণিয় জংশন হইতে একটি শাখা লাইন বাহির হইয়া ২৩ মাইল দূরবর্তী বনমনখি জংশনে গিয়া পুনরায় দুই শাখায় বিভক্ত হইয়া এক শাখ মুরলীগঞ্জ ও অপর শাখা বিহারীগঞ্জ পর্য্যন্ত গিয়াছে। কাটিহার জংশন হইতে মুরলীগঞ্জ ও বিহারীগঞ্জের দূরত্ব যথাক্রমে ৫২ মাইল ও ৫৭ মাইল। - বনমনথি স্টেশন হইতে ২ মাইল উত্তরে ধরার গ্রামে একটি পুরাতন গড়ের ভগ্নাবশেষ ও তন্মধ্যে প্রায় ২০ ফুট উচচ একটি মসৃণ পাথরের থাম দৃষ্ট হয়। থামটি মাণিক থাম নামে পরিচিত। পল্লী কাহিনীতে গড়টি হিরণ্যকশিপুর প্রাসাদ ছিল বলিয়া কথিত এবং খামটিতে তাহার পুত্র প্রলোদকে