পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ক) ময়মনসিংহ-আখাউড়া-টঙ্গী-ভৈরবৰাজার বিভাগ গৌরীপুর—ময়মনসিংহ জংশন হইতে ২২ মাইল দূর। গৌরীপুরে একটি প্রাচীন জমিদার বংশের বাস। .سی.پی & এখান হইতে আসাম বাংলা রেলপথের একটি শাখা ৩৩ মাইল দূরবর্তী মোহনগঞ্জ পর্য্যন্ত গিয়াছে। মোহনগঞ্জ একটি বাণিজ্য-প্রধান স্থান। ইহা ময়মনসিংহ জেলার পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত। এই স্থান হইতে কয়েক মাইল দূরে কয়েকটি প্রকাও বিল আছে। উহাদিগকে “ হাওর ” বলে। "হাওর ” কথাটি “সাগর” শব্দের অপভ্রংশ। বর্ষাকালে এই সকল বিল যখন জলপ্লাবিত হইয়া যায় তখন উহাদিগকে দেখিতে ঠিক সমুদ্রের মত দেখায়। - মোহনগঞ্জ শাখা লাইনে শ্যামগঞ্জ জংশন ও নেত্রকোণ উল্লেখযোগ্য স্টেশন। শ্যামগঞ্জ হইতে অপর একটি শাখা লাইন ১৩ মাইল দূরবত্তী জড়িয়াঝঞ্জাইল নামক প্রসিদ্ধ কারবারের স্থান-পর্য্যন্ত গিয়াছে। - . নেত্রকোণ ময়মনসিংহ জেলার অন্যতম মহকুমা। ইহা মগর নামক একটি পাবর্বত্য নদীর তীরে অবস্থিত। এই নদীটির দৃশ্য অতি সুন্দর। বল্লাল সেন যখন বিক্রমপুরে অধিষ্ঠিত, সেই সময়ে নেত্রকোণার নিকটস্থ ময়মনসিংহ জেলার পূর্বভাগে অবস্থিত সুসঙ্গ, খালিয়াজুরী ও মদনপুরে গারো ও হাজংদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্য ছিল। খৃষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষভাগে বৈশ্য গারো যখন সুসঙ্গ পাহাড় মুল্লুকের রাজা, সেই সময় সোমেশ্বর পাঠক নামক একজন পরাক্রান্ত ব্যক্তি কান্যকুব্জ হইতে আগমন করেন বলিয়া কথিত। তিনি বহু অনুচরের সাহায্যে বৈশ্য গারোকে পরাজিত করিয়া সুসঙ্গ রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন। - খালিয়াজুরী রাজ্য পরে লম্বোদর नामक अिक्चन ক্ষত্রিয় সন্ন্যাসীর শাসনাধীন হয়। ইহার বংশীয়ের সম্রাট জাহাঙ্গীরের নিকট হইতে “পাৱা ফরমান” পাইয়া ভাটি প্রদেশের শাসনকর্তা হইয়াছিলেন। বােকাইনগর—ময়মনসিংহ জংশন হইতে ১৬ মাইল। মুসঙ্গ, খালিয়াজুরী ও মদনপুরের ন্যায় এখানেও হাজংদের একটি ক্ষুদ্র রাজ্য ছিল। & - - - - , ঈশ্বরগঞ্জ—ময়মনসিংহ জংশন হইত্তে ২৮ মাইল দূৰ। ইহা একটি বদ্ধিষ্ণু গ্রাম ও ব্যবসা প্রধান স্থান। এখানে একটি মুলেী আদালত আছে। . । আঠারবাড়ী—ময়মনসিংহ জংশন হইতে ৩৬ মাইল দূর। এখানে একটি প্রাচীন জমিদার বংশের বাস। স্টেশন হইতে জমিদার বাড়ী প্রায় অৰ্দ্ধ মাইল। উহার সংলগ্ন একটি চিড়িয়াখানায় হরিণ, ভল্লুক, ময়ুর, সারস প্রভৃতি পশুপক্ষী রক্ষিত আছে। এখানকার রাধাগোবিন্দজী ও জগদ্ধাত্রী দেবীর মন্দর ও বিগ্রহ বিশেষ দ্রষ্টব্য বস্তু। নিকটবৰ্ত্তী "রায়ের রাজার ” ও “খালবোলা " বাজার নামক দুইটি বাজার হইতে প্রতি বৎসর বহু টাকার পাট চালান যায়। , , , * -