পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ンSb दां९लॉग्न बभ* রাজা প্রত্যেকে ১,০০০ জন ; শ্রীপুরপতি চাঁদ রায়, বাকলার বসু ও সলে গোয়ালপাড়ার গাজি প্রত্যেকে ৭০০ জন এবং অষ্টগ্রামের ও বানিয়াচঙ্গের জমিদার প্রত্যেকে ৫০০ জন করিয়া লোক পাঠাইয়াছিলেন। ইহা হইতে ত্রিপুর রাজের পদমৰ্য্যাদা সহজেই অনুমিত হয়। শ্রীহট্টের পাঠান রাজা ফতে র্থ সাহায্য না করায় অমর মাণিক্য পুত্র রাজ্যধরের পরিচালনায় একটি বিপুল সেনা-বাহিনী ফতেখার বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন। এই অভিযানে ইতিহাস প্রসিদ্ধ ঈশা খাও তাঁহাকে সাহায্য করেন। ফতে খাঁ বন্দী হইয়া ত্রিপুরায় আনীত হইয়াছিলেন। পরে অমর মাণিক্য বহু সৈন্য দ্বারা সাহায্য করাতে ঈশা খাঁ মুঘলদিগের বিরুদ্ধে জয়ী হইয়াছিলেন। কেহ কেহ বলেন ঈশা খার “ মছলন্দী’ বা “মসনদ-ই-আলি ” উপাধি ত্রিপুর রাজ অমর মাণিক্য কর্তৃক প্রদত্ত। মহারাজ ২য় ধৰ্ম্মমাণিক্য (১৭১৪—১৭৩২ খৃষ্টাব্দে) মহাভারতের বঙ্গানুবাদ করাইয়াছিলেন। লক্ষ্মণ মাণিক্যের (১৭৬০ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত) রাজত্বকালে সমসের গাজী নামক একজন সাধারণ ব্যক্তি অতি পরাক্রমশালী ছিলেন, কাৰ্য্যত: তিনিই প্রকৃত রাজা ছিলেন। মহারাজা কৃষ্ণ মাণিক্যকে পরাজিত করিয়া সমসের ত্রিপুর রাজ্য জয় করিয়াছিলেন, কিন্তু রাজ্যের পাবর্বত্য জাতি সমূহ ত্রিপুর রাজবংশ ব্যতীত অপর কাহারও আনুগত্য স্বীকার করিতে রাজী না হওয়ায় সমসের লক্ষ্মণ মাণিক্যকে সিংহাসনে বসান। সমসেরের রাজ্য শাসন প্রশংসনীয় ছিল। তিনি বাজারে প্রত্যেক জিনিষের মূল্য বাধিয়া দিয়াছিলেন, তাহার ব্যতিক্রম হইতে পারিত না । তিনি মুসলমান হইয়াও অনেক ব্রাহ্মণকে ব্ৰন্ধোত্তর দিয়াছিলেন। পাবর্বত্য ত্রিপুরার বয়ন শিল্প অতি প্রাচীন। রাজপরিবার ও ঠাকুর সাহেবদিগের গৃহে ব্যবহূত এখানকার রিয়া বস্ত্রে সুতা দিয়া লতাপাত, ফুল, দেবদেবী প্রভূতির মূৰ্ত্তি সুন্দরভাবে চিত্রিত হয় । উহা রাজা রাজসূর্য্যের মহিষী জয়ন্ত-রাজকুমারীর উদ্ভাবনা বলিয়া কথিত। ত্রিপুরার স্বর্ণখচিত গজদন্তের পাটিরও প্রসিদ্ধি আছে। - কমলাসাগর—আখাউড় জংশন হইতে ৭ মাইল দূর। স্টেশনের নিকটে একটি অনুচচ পবর্বত শৃঙ্গের উপর ক্যুবা কালীবাড়ী নামক একটি প্রাচীন দেবস্থান আছে। বৈশাখ মাসের অমাবস্যা তিথিতে এখানে মহামেলা ও বহু জন সমাগম হয়। কমলাসাগর নামক একটি প্রকাও দীঘির নাম হইতেই স্থানটির নাম কমলাসাগর হইয়াছে। এই দীঘির জল অতি নিৰ্ম্মল । কুমিল্লা-আখাউড়া জংশন হইতে ২৯ মাইল দূর। ইহা ত্রিপুরা জেলার প্রধান শহর। শহরটি গোমতী নদীর তীরে অবস্থিত এবং একটি স্বাস্থ্যকর স্থান । কুমিল্লার জগন্নাথ মন্দির একটি দ্রষ্টব্য বস্তু। ইহার নিকটস্থ সপ্তরত্ন মন্দিরও বিশেষ প্রসিদ্ধ। কুমিল্লার রথযাত্রা মেলায় বিস্তর জন সমাগম হয়। ইহা প্রায় ৩৫০ বৎসর ধরিয়া অনুষ্ঠিত হইতেছে। ত্রিপুরেশ্বর মহারাজা অমর মাণিক্য বাহাদুর জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ স্থাপন করেন। রথের সময় ত্রিপুর মহারাজের নির্বাচিত প্রতিনিধি প্রথমে রথের রজ্জ্ব স্পর্শ করেন। . কুমিল্লায় ভিক্টোরিয়া কলেজ নামক একটি প্রথম শ্রেণীর কলেজ, একটি উচচ বালিকা বিদ্যালয় ও শহরের নিকটবৰ্ত্তী ময়নামতী পাহাড়ে একটি সার্ভে বা জরিপ শিক্ষার স্কুল আছে। ।