আসাম বাংলা রেলপথে ›ዋማ আদিনাথ—চট্টগ্রাম হইতে স্টীমারযোগে সুপ্রসিদ্ধ তীর্থ আদিনাথ যাইতে হয়। ইহা মহিষখালি বা মহেশখালি নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহানার কাছেই মহিষাখালি বা মহেশখাল নামক দ্বীপে মৈনাক পবর্বতের উপর অবস্থিত। সমতল ভূমি হইতে ৬৯টি সোপান অতিক্রম করিয়া মৈনাকের শীর্ষদেশে আদিনাথ শিবের মন্দিরে পৌছিতে হয়। চট্টগ্রাম হইতে আদিনাথের দূরত্ব ৭৫ মাইল, স্টীমারে করিয়া যাইতে প্রায় ৭৮ ঘণ্টা সময় লাগে। কর্ণফুলী নদী বাহিয়া বঙ্গোপসাগরে পড়িয়া বামদিকে গজিরার বাতিঘর ছাড়িয়া বাহির সমুদ্রে কিছুক্ষণ যাইবার পর কুতুবদিয়া দ্বীপের নিকট সমুদ্র ফেলিয়া স্টীমার নীও খাল দিয়া অগ্রসর হয়। কুতুবদিয়া মাতামুড়ী নামক নদীর মোহানায় অবস্থিত। এই দ্বীপের বাঞ্জির বহুক্ষণ ধরিয়া দেখা যায়। স্টীমার ক্রমে মহিষখালি নদীতে গিয়া পড়ে এবং বঙ্গোপসাগরের সন্ধিত এই নদীর সঙ্গমের কিছু আগেই মহিমখালি দ্বীপে আদিনাথের মন্দিরের সম্মুখে গিয়া দাড়াইলে সামপান যোগে কুলে যাইতে হয় ; নৌকায় মাত্র ১০১৫ মিনিট সময় লাগে। । শিবরাত্রির পরই বহু লোক চন্দ্রনাথ হইয়া আদিনাথ মহাদেবের দর্শনে আসেন। এই সময়ে এখানে ৮ দিন ধরিয়া মেলা বসে। এই মেলা প্রায় ১৫০ বৎসর ধরিয়া চলিতেছে। - এই তীর্থে আদিনাথ মহাদেব ও অষ্টভুজ দুর্গ মন্দির মধ্যে বিরাজ করিতেছেন। পাহাড়, নদী ও সম্মুখে সমুদ্র পারিপাখৃিক দৃশ্যকে সত্যই মনোরম করিয়াছে; এই স্বাভাবিক আবেষ্টনীর মধ্যে প্রাত্যহিক সন্ধ্যারতির শঙখ-ঘণ্টাধবনি তীর্থযাত্রীর মনে অপূবৰ্ব আনন্দ দান করে। * আদিনাথ রাবণের কাধে চড়িয়া তাহার বাসাবাটী মৈনাকে আসিয়াছিলেন বলিয়া কথিত। তিনি বহুকাল গুপ্ত অবস্থায় ছিলেন। কিংবদন্তী প্রায় ২০০ বৎসর হইল স্থানীয় কোনও মুসলমান কৃষক কাঠ কাটিবার জন্য জঙ্গলে গিয়া একটি বেলগাছে উঠতে গেলে একটি জ্যোতির্ময় পদার্থ গাছ ইষ্টতে মাটিতে পড়িয়া যায়। তিনি নিকটে গিয়া দেখিলেন ইহা একটি সুন্দর পাথরের টুকরা "জঙ্গ, শান্ত দিবার জন্য তিনি ইহা কুড়াইয়া বাড়ী লইয়া যান এবং দুই পায়ে কাটা ফুটছিল বরিা: পাথরটি দিয়া দুই পা ঘর্ষণ করেন। রত্রে তিনি ও তাঁহার স্ত্রী মানারূপ তীৰ্ষণ স্বপ্ন দেধি । ভীত হন। পরের দিন তাঁহাদের একমাত্র পুত্র বিলুচিক রোগে মৃত্যুমুখে পড়িত হয়। শুধর ভীত হইয়া মহিষখালির জমিদার প্রভাবতী ঠাকুরাণীর নিকটে গিয়া সমস্ত ঘটল বিবৃত ৰূরেন। তিনি কৃষকের নিকট হইতে আদিনাথকে লইয়া আসিয়া মন্দিরে প্রতিষ্ঠা ও পূজার ব্যবস্থা করেন। " মহিষখালি দ্বীপে বহু মগ বাস করেন। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ব্ৰহ্ম ও আরাকান রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধের ফলে ব্রহ্মরাজভীত বহু আরাকানৰালী চট্টগ্রাম জেলার প্রান্তদেশে স্থানে স্বানে উপনিবেশ: স্থাপন করেন। মহেশখালির মগেরা তাঁহাদেরই সন্তানসস্ততি। ইহারা নিজ ভাষা ভিন্ন বাংলাও ৷ জানেন। আদিনাথ মন্দিরের নিকটেই একটি श्नई ছোট বৌদ্ধ মন্দির এবং জাংমাইৰ দুয়ে ইহাদের পূজাস্বান চেরাধের দেখিবার জিনিস। চেরাইরের তিন চারিটি শিরে বই স্কুল ও বৃহৎ বৃহৎ শ্বেত পাথর ও পিতল ইত্যাদির বুদ্ধমুক্তির পূজা হয়। বাংলাদেশে অন্য কো"প بسط बृंश९ মুক্তি নাই। t ' ' '. 砾。 . - * : مې: कस्ताबाद-भधान হইতে জলপথে আদিনাথের ঠিক পরের স্টীমার স্টেশন -rrrrr-turtā (Cox's Bazar) | এই স্থান আদিনাথের সামান্য দক্ষিণে মহিষখালি নদীর অপর 12 亨、 ...” 3
