পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»ፃb . बां२जांब्र बयनं i * পারে ঠিক বঙ্গোপসাগরের মোহানার উপর অবস্থিত। সস্টীমার হইতে সামপানে নামিয়া তিন মাইল পথ একটি বৃহৎ খাল দিয়া কাকৃসবাজারে যাইতে হয়। কাকৃসবাজারের উত্তরে এই খাল এবং পশ্চিমে সমুদ্র। র্যাহারা জলপথে যাইতে অনভ্যস্ত তাহারা কেহ কেহ সমুদ্রের ঢেউ খাইয়া সমিপানে কাকৃসবাজার যাইতে ভয় পাইতে পারেন—বিশেষতঃ শীতকালের পর যখন স্বভাবতই বাতাসের সমুদ্রে ঢেউ বেশী থাকে। শিবরাত্রির পর আদিনাথ দর্শন করিয়া কেহ কেহ জাহাজের জন্য অপেক্ষা না করিয়া নৌকাযোগেই মহিষখালি নদী পার হইয়া কাকুসবাজার যাইয়া থাকেন; ইহাতে প্রায় দুই ঘণ্টা আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। এই পথেও মাঝ নদীতে বেশ ঢেউ লাগে, সুতরাং অনভ্যস্তের পক্ষে স্টীমারে যাওয়াই বিধেয়। - - fর চট্টগ্রাম জেলার অন্যতম মহকুমা ; এবং চট্টগ্রাম শহর হইতে দক্ষিণে স্থল পথে মাত্র ৪৯ মাইল দূর ; কিন্তু রাস্ত নাই। শহরটির দৃশ্য বড়ই সুন্দর, বিশেষতঃ ইহার বিস্তৃত সমুদ্রতটটি অতি মনোরম। - এখানে সামুদ্রিক মৎস্যের বড় কারবার আছে এবং এখানকার প্রস্তুত লুঙ্গি কাপড়ের বিশেষ চাহিদা আছে। - + + , el মহিষখালির ন্যায় কক্সবাজারেও ব্রহ্ম আরাকাণ যুদ্ধের পর হইতে বহু মগ আসিয়া বাস করিতেছেন। ব্ৰহ্ম অভিযানের প্রধান নেতা কাকৃয় সাহেবের নাম হইতে এই শহরের নামকরণ হইয়াছে। । এপদ্বীপ-চট্টগ্রাম হইতে জাহাজযোগে বঙ্গোপসাগরের মোহানায় অবস্থিত সন্দ্বীপে যাওয়া যায়। সন্দ্বীপ নোয়াখালি জেলার অন্তর্গত। এখানে একটি মুন্সেফী আদালত আছে। পাঠান আমলের শেষভাগে সন্দ্বীপ আরাকানী, মগ ও পর্তুগীজ জলদসু্য বা বোম্বেটেগণের একটি আডড হইয় উঠে। এই স্থানকে কেন্দ্র করিয়া জলদস্থ্যগণ বঙ্গোপসাগরের উপকূলভাগে নানা প্রকার অত্যাচার করিত। ষোড়শ শতাব্দীতে সিবাস্টিয়ান গঞ্জলিশ নামক জনৈক পর্তুগীজ সর্দার সন্দ্বীপ অধিকার করিয়া সেখানে কিছুকাল রাজত্ব করিয়াছিল। পরে পর্তুগীজগণ মুঘলদিগের হস্তে পরাজিত হয় । পূর্বকালে সন্দ্বীপ জাহাজ নিৰ্ম্মাণের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। কথিত আছে যে আলেক্জাজিয়ার সুলতান এখান হইতেই তাহার জাহাজগুলি নিৰ্ম্মাণ করাইয়া লইতেন। সে যুগে সন্দ্বীপে বিস্তৃত লবণের কারখানা ছিল। সন্দ্বীপ একটি স্বাস্থ্যকর স্থান। ശ്i-്: জেলার পূবেৰ পাবর্বত্য চট্টগ্রাম নামক একটি স্বতন্ত্র জেলা আছে। এ জেলার অধিবাসিগণের মধ্যে বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী চাকৃমা ও মগ এবং হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বী টিপুরা জাতিই অধিক। এ জেলায় রাস্তার বড়ই অভাব। এখানকার ভূমি পাহাড়পবর্বত ও বনজঙ্গলে পরিপূর্ণ। ইহার জঙ্গলে তুন, জারুল, চাপলাই ও গর্জন প্রভৃতি মূল্যবান গাছ এবং বাঁশ ও বেত প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। অরণ্যমধ্যে হস্তী, ব্যাঘ্ৰ, গণ্ডার ও মহিষ প্রভৃতি বাস করে। উৎপন্ন দ্রব্যের মধ্যে কাপাস ও তুলা প্রধান। 12a