পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sbારે बौरजांग्न अंशर्ण نظ রাত্রিকালে একবার চন্দ্রকিরণের মত উজ্জল জ্যোতি আকাশ হইতে তাঁহার কুটিরে প্রবেশ করে। তখন হইতে তিনি “কুতুব-উল-আউলিয়া ’ নামে পরিচিত হন এবং তাঁহার বাসস্থানের নাম হয় “ চন্দ্রচুরি"। মৃত্যুর পর তাঁহাকে নরপতির নিকটবর্তী মুড়ারবন্দ নামক স্থানে খোয়াই নদীর তীরে সমাহিত কুরা হয়। এই স্থান “কুতুবের দরগাহ ” বা “ মুড়ারবন্দের দরগাহ ” নামে অভিহিত। দরগাহটি দৈর্ঘ্যে সিকি মাইল। এই স্থানে আরও বহু পীর প্রভূতির শতাধিক কবর আছে। বহু দূর হইতে মুসলমান ভক্তগণ এই দরগাহে জিয়ারত করিতে আসেন। . কুতৰ-উল-আউলিয়ার প্রপৌত্র গদাহাসনও একজন প্রসিদ্ধ সাধক ছিলেন। [পৈল দ্রষ্টব্য)। হবিগঞ্জ বাজার—হবিগঞ্জ শ্রীহট্ট cखनात्र थनाउन মহকুমা ও একটি বাণিজ্য প্রধান স্থান। এখানে একটি কলেজ আছে। এই স্থানও প্রাচীন তরফ রাজ্যের অন্তর্গত। পৈল—হবিগঞ্জ স্টেশনের নিকটস্থ পৈল গ্রামের পীর বাদশাহের প্রাচীরবেষ্টিত দরগাহ সুপ্রসিদ্ধ। তরফের মুসলমান রাজবংশের প্রসিদ্ধ সাধক কুতুব-উল-আউলিয়া সাহেবের প্রপৌত্র সৈয়দ নুরিও একজন উচচ শ্রেণীর সাধক ছিলেন। তিনি পৈতৃক বাসস্থান নরপতি ছাড়িয় পৈলে আসিয়া বাস করেন এবং দিল্লী হইতে নিজ নামে “ নুরুল হাসান নগর ” পরগণা খারিজ করিয়া লইয়াছিলেন। কথিত আছে, কুতুব-উল-আউলিয়ার পবিত্র সমাধির পাশ্বে কাহার শব সমাহিত হইবে ইহা লইয়া সৈয়দ শাহ নুরির সহিত তাহার পিতৃব্যপুত্র বিখ্যাত সাধক গদাহাসনের বিবাদ ঘটে এবং মীমাংসার জন্য উভয়ে দিল্লী গমন করেন। দিল্লীশ্বরের বিচারে শাহ নুরিরই জয় হয় এবং তাঁহার মৃত্যুর পর নরপতির নিকটবর্তী কুতুব-উল-আউলিয়ার কবরের পাশ্বে তাঁহাকে সমাহিত করা হয়। সৈয়দ শাহ নুরির বংশের পীর বাদশাহ একজন উচচস্তরের সাধক ছিলেন। তিনি ইরাণী ভাষায় ‘গঞ্জতরাজ ’ নামক তত্ত্ববিষয়ক একখানি গ্রন্থ রচনা করেন। পৈলে তাহার দরগাহ মুসলমান সমাজে বিশেষ সম্মানিত। লোকের বিশ্বাস যে অনাবৃষ্টির সময়ে পীর বাদশাহের কবরের উপর তাহার বংশজ কেহ যদি ১০১ কলসী জল ঢালেন তাহা হইলে বৃষ্টি হইবে। পৈলের সৈয়দগণ বিদ্যানুরাগের জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন। পীর বাদশাহের অতিবৃদ্ধ প্রপৌত্র ইরাণ ভাষায় স্বপুফল সম্বন্ধে একখানি গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন। এই বংশের অনেকে দিল্লীর বাদশাহজাদাদিগের শিক্ষকতা করিয়াছিলেন বলিয়া কথিত। দিল্লী হইতে আগত শাহ আমন উদ্দীন নামক জনৈক বিদ্বান ব্যক্তি এই বংশে বিবাহ করেন। তাহার বংশজ রেহান উদ্দীন ইরাণী ভাষায় সুন্দর কবিতা রচনা করিতেন, ইহার কবিতা শুনিয়া দিল্লীর সম্রাটু ইহাকে “বুলবুল বাঙ্গল৷ ” উপাধিতে ভূষিত করেন। - বিথঙ্গল—হবিগঞ্জ মহকুমায় স্থিত বিথঙ্গল গ্রামে শ্রীহট্ট জেলার বৃহত্তম বৈষ্ণব আখড়া অবস্থিত। এই আখড়ায় ইহার প্রতিষ্ঠাতা রামকৃষ্ণ গোসাইএর সমাধি আছে, কোনও মুক্তি নাই। ইনি জগন্মোহিনী নামক বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের লোক। এই সম্প্রদায়ের লোকেরা গৃহত্যাগী বৈরাগী এবং গুরুকে সাক্ষাৎ পরব্রহ্ম জ্ঞানে পূজা করিয়া থাকেন। এক কালে ইহার তুলসীপত্র বা গোময় ব্যবহার করিতেন না ; এই কারণে বৃন্দাবনে নানারূপ আপত্তি উঠে। এখন ইহারা বৈষ্ণবদিগের সাধারণ রীতি অনেক মানিয়া থাকেন। এই সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা জগন্মোহনের সমাধি হবিগঞ্জের নিকটবৰ্ত্তী মজুলিয়া গ্রামে অবস্থিত। মসুলিয়ার আখড়া হইতে ৰিথঙ্গলের আখড়া অনেক বড়। এই আখড়ার বহ ভূসম্পত্তি আছে। : • -