পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bあ、 বাংলায় ভ্রমণ মধ্যে বাসুদেব ও দুই পাশ্বে লক্ষ্মী ও সরস্বতী মুক্তি। বাসুদেবের নাম হইতে স্থানটিকে বাসুদেবপুর বলা হয়। - /* করিমগঞ্জ জংশন—আখাউড়া জংশন হইতে ১২১ মাইল দূর। ইহা শ্রীহট্ট জেলার একটি মহকুমা ও বিখ্যাত বাণিজ্য কেন্দ্র। শহরটি কুশিয়ারা নদীর তীরে অবস্থিত। এখানে তিনটি হাই স্কুল ও একটি বালিকা বিদ্যালয় আছে। এই মহকুমায় অনেক চা-বাগান আছে। করিমগঞ্জ জংশন হইতে একটি শাখা লাইন ৩১ মাইল দূরবর্তী দুৰ্ল্লভছড়া পৰ্য্যন্ত গিয়াছে। এই শাখাপথের বারৈগ্রাম জংশন হইতে অপর একটি শাখা ৮ মাইল দূরবর্তী কলকলিঘাটে গিয়া শেষ হইয়াছে। ‘এই শাখা রেলপথ দুটি শ্রীহটের প্রাচীন খণ্ডরাজ্য প্রতাপগড়ে অবস্থিত। পুরাতন রাজবাড়ীর ভগ্নাবশেষ জঙ্গল মধ্যে দৃষ্ট হয়। এই রাজবাড়ী পাথরের কারুকার্য্যে মুশোভিত ছিল। আদম আইল ও দু-আলিয়া নামক দুইটি পবর্বত শ্রেণী এই রাজ্যের মধ্য দিয়া উত্তর দক্ষিণে বিস্তৃত রহিয়াছে। %rs জংশন—আখাউড়া জংশন হইতে ১২৮ মাইল দূর। ইহা একটি প্রসিদ্ধ জংশন ও বাণিজ্য প্রধান স্থান। বদরপুর বন্দর বরাক নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। এই স্থান শ্রীহট্ট জেলার শেষ সীমানা। বরাক নদীর উপরকার রেলওয়ে সেতুটি একটি দ্রষ্টব্য বস্তু। আসাম বাংলা রেলপথের পাবর্বত্য বিভাগ এখান হইতে বাহির হইয়াছে। স্টেশনের অনতিদূরে বরাক নদীর ধারে সিদ্ধেশ্বর শিবের মন্দির অবস্থিত। এই শিব কপিল মুনি কর্তৃক স্থাপিত বলিয়া কথিত। বায়ুপুরাণমতে এই স্থানের নাম কপিলতীৰ্থ এবং কপিল মুনি এই স্থানেই তপস্যা করিয়াছিলেন। বায়ুপুরাণে বরাক বা বরচক্র নদের মাহাত্ম্যও লিখিত হইয়াছে। বারুণী উপলক্ষে এই স্থানে একটি বৃহৎ মেলা হয় এবং বহু লোক সাদার্থে আসিয়া থাকেন। বরাক নদীর অপর পার হইতে কাছাড় জেলার সীমানা আরম্ভ হইয়াছে। কাছাড় শব্দটি নেপালী ভাষার শব্দ। উহার অর্থ “প্রান্তদেশ " । এই জেলার দক্ষিণাংশ সমতল। এই অংশে প্রধানত: বাঙালীর বাস। জেলার উত্তরাংশ পবর্বতবহুল ও জনবিরল। এই বিভাগে নাগা, কুকী প্রভৃতি পাবর্বত্য জাতির বাস। শ্রীহটের ন্যায় কাছাড় জেলায়ও বিস্তর চা-বাগান আছে। কাছাড়ের প্রাচীন নাম হৈড়ম্ব প্রদেশ। পূবেৰ্ব এখানে একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। উক্ত রাজবংশীয়গণ হিড়িম্বা ও ভীমের পুত্র ঘটোৎকচের বংশধর বলিয়া আত্মপরিচয় দিতেন। ত্রিপুর রাজপরিবারের সহিত এই রাজবংশের বৈবাহিক সম্বন্ধ ছিল। এই রাজবংশের প্রাচীন কীৰ্ত্তি মাইবং নামক স্থানে এখনও দেখিতে পাওয়া যায়। মাইবং স্টেশনটি বদরপুর-লামডিং বা পাবর্বত্য বিভাগে অবস্থিত। বদরপুর জংশন হইতে ইহার দূরত্ব ১৪৯ মাইল। এই পথে বদরপুর জংশন হইতে ৩৭ মাইল দূরবর্তী ডামচের একটি মনোরম স্থান। ইহার চতুদিকের প্রাকৃতিক দৃশ্য অতি সুন্দর। আহোম ও নাগগণ কর্তৃক বিতাড়িত হইয়া মাইৰং আসিবার পূবেৰ কাছাড়ী