পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$९९ বাংলায় ভ্রমণ লাইনে দেখিতে পাওয়া যায়। বড় কুঠির হাতার মধ্যে তখনকার দিনের একটি ছোট গোরস্থান আছে। রাজশাহী শহরের দ্রষ্টব্য বস্তুর মধ্যে রাজশাহী কলেজ, পুটিয়ার মহারাণী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃত কলেজ ও বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত চিত্রশালা উল্লেখযোগ্য । রাজশাহীর কলেজটি সরকারী কলেজ। পদ্মার তীরে অবস্থিত এই কলেজটির দৃশু অতি মুন্দর। বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির মিউজিয়ম বা চিত্রশালা কেবলমাত্র রাজশাহীর নহে, সমগ্র বাংলার গৌরবের বস্তু। প্রধানতঃ উত্তরবঙ্গ হইতে সংগৃহীত প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতি ও শিল্প সাধনার নিদর্শন এখানে রক্ষিত হইয়াছে। যাহারা বাংলার ইতিহাস আলোচনায় অনুরাগী এই চিত্রশালাটি তাহাদের পক্ষে অবশু দ্রষ্টবা। চিত্রশালার ভবনটি হিন্দু স্থাপত্যের আদর্শে নিৰ্ম্মিত । রাজশাহী কলেজের দক্ষিণে একটি পুরাতন মসজিদ এবং মখ ছমশাহ নামক পীরের দরগাহ আছে । ইহার পশ্চিমে রাজশাহীর বিশাল জেলখানা এবং তাহার পশ্চিমে শহরের সুন্দর ও বিস্তুত ময়দান অবস্থিত । - রাজশাহী কলেজ মুসলমান আমলে রাজশাহী একটি প্রকাও পরগণা ও জমিদারীরূপে পরিচিত ছিল। বৰ্ত্তমান রাজশাহী জেলা ছাড়া বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের কতকাংশও ইহার অন্তর্গত ছিল । আজিও শেষোক্ত তুই জেলায় রাজশাহী নামে একটি পরগণা আছে । লাল উপাধিধারী শাণ্ডিল্য গোত্রীয় রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণগণ বহুকাল হইতে রাজশাহী পরগণার জমিদার ছিলেন । এই বংশের রাজা উদয়নারায়ণ রায়ের সহিত রাজস্ব ব্যাপার লইয়া নবাব মুর্শিদকুলী খাঁর বিবাদ ও যুদ্ধ হওয়ার ফলে রাজশাহী জমিদারী এই বংশের হস্তচু্যত হয় এবং উঠা নাটোর রাজবংশের অধিকারে আসে। উত্তরকালে নাটোর জমিদারী হইতেও কতকগুলি বিভিন্ন জমিদারীর সৃষ্টি হয় । বৰ্ত্তমানে রাজশাহী জেলার মধ্যে নাটোর, দিঘাপতিয়া, পুটিয়া ও তাহিরপুরের জমিদার বংশের নাম উল্লেখযোগ্য।