পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ శ్రీశ్రీ পাহাড়পুরের মহাবিহারের পাদমূলে চারিদিকে প্রস্তর গাত্রে উৎকীর্ণ যে ৬৩টি মৃত্ত দেখিতে পাওয়া যায় তাহা সত্যই অপূৰ্ব্ব ; পূৰ্ব্বভারতে ইহার তুলনা মিলেনা। পালযুগের বিস্ময়কর ভাস্কর্য্য শিল্পের সূত্রপাত এইগুলিতে দেখিতে পাওয়া যায়। পালযুগের প্রসিদ্ধ ভাস্কর ধীমান ও বীটপাল ইহার পরবর্তী কালে খৃষ্টীয় নবম শতাব্দীর লোক । পাহাড়পুরে কয়েকটি খোদিত প্রস্তর স্তম্ভ পাওয়া গিয়াছে ; ইহার মধ্যে একটি রাজা মহেন্দ্র পালের রাজ্যকালের । পাহাড়পুর গুপের কারুকার্য (প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সৌজন্তে ) তিববতীয় সাহিত্য হইতে জানা যায়, খৃষ্টীয় নবম হইতে দ্বাদশ শতাব্দী পৰ্য্যন্ত এই সোমপুর মহাবিহার তিববতীয়গণের একটি বিশিষ্ট তীর্থস্থান ছিল। শ্ৰীজ্ঞান দীপঙ্কর অতীশের তিববতীয় জীবনচরিত হইতে জানা যায় যে, তিনি বহু বৎসর সোমপুর বিহারে বাস করিয়াছিলেন, এবং তাহার গুরু ছিলেন এই বিহারের মহাস্থবির রত্নাকর-শান্তি । নালান্দা ও বোধগয়ায় প্রাপ্ত খোদিত লিপি হইতে তথায় এই সোমপুর বিহারের কয়েকজন ভিক্ষুর দানের কথা জানিতে পারা যায়। পুরাকালে একটি নদী এই স্থানের পাশ্ব দিয়া প্রবাহিত হইত। আজও অধুনালুপ্ত এই নদীর পাশ্বস্থিত ঘাট ও তৎসংলগ্ন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। নদীর পশ্চিমতীরে চারিদিকে উচ্চ দেওয়ালবিশিষ্ট গড়ের মধ্যস্থলে মূল অধিষ্ঠানটি অবস্থিত। উত্তরদিকস্থ দেওয়ালের মধ্যস্থলে প্রধান প্রবেশদ্বার আবিষ্কৃত হইয়াছে। এই