পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

め4& - বাংলায় ভ্রমণ ষাট মাইল দীর্ঘ এই পৰ্ব্বতশ্রেণীটি একদিকে নেপাল ও অপরদিকে সিকিম ও দাজ্জিলিং জেলার সীমা নির্দিষ্ট করিয়া উঠিতে উঠিতে কাব্রু, জম্মু ও কাঞ্চনজঙ্ঘার উত্তঙ্গ শিখরে গিয়া শেষ হইয়াছে । * - - শিলিগুড়ি হইতে ১২ মাইল দূরবর্তী পরবর্তী রংটং পৌছাইবার পূৰ্ব্বেই রেলপথ ১নং লুপের সাহায্যে চক্রাকারে উপরে উঠিয়াছে। যেখানে পৰ্ব্বতকে বেষ্টন করিয়া লাইন লইয়া যাইতে হইলে অনেকটা ঘুর হয়, সেইখানে লুপ বা চক্ৰ তৈয়ার করিয়া সহজে গাড়ীকে উদ্ধে উঠাইবার ব্যবস্থা করা হয়। রংটং হইতে স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায় যে রেলপথ সমতল ভূমি ছাড়িয়া পৰ্ব্বতগাত্রে অনেকদূর উপরে উঠিয়াছে। তিনধারিয়া লুপ রংটং পার হইয়া সু-উচ্চ সেলিম পাহাড় (৩,৫০০ ফুট) সম্মুখে দৃষ্ট হয় এবং কিছু পরেই ২নং লুপ বা চক্ৰ দিয়া রেলপথ উপরে উঠিয়াছে। এই ২নং চক্রের নিকটে চিতাবাঘের উপদ্রব সুবিদিত। কথিত আছে কুড়ি বৎসরে এই স্থানে শতাধিক ব্যক্তি চিতাবাঘের আক্রমণে প্রাণ হারাইয়াছে। বনানী ক্রমে গভীর হইতে গভীরতর হইয়া উঠতেছে। বহুপ্রকারের লতাগুল্মবৃক্ষাদিতে উপত্যক ও গিরিসঙ্কট কাণায় কাণায় ভরিয়া উঠিয়াছে। মধ্যে মধ্যে চা-বাগান ও নিম্নের বিস্তৃত সমতল ভূমির দৃশ্য দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অল্প পরেই ৩নং বা চুণাভাটা চক্র পার হইয়া শিলিগুড়ি হইতে ১৬ মাইল দূরবর্তী চুণাভাটী ছাড়াইয়া কার্সিয়ংএর নিকটস্থ মহলদীরাম পৰ্ব্বতের কুজাকার শিখরদেশ (৭,০০০ ফুট উচ্চ) সিটং পাহাড় দৃষ্টিপথে পড়িবে।