পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ (సి কিংবদন্তী আছে যে অবজরভেটরী পাহাড়ের উপর দুর্জয়লিঙ্গ নামে এক মহাদেবের মন্দির ছিল ; এখন তুর্জয়লিঙ্গ পাহাড়ের একটি গহবরে বিরাজ করিতেছেন। তথায় প্রবেশ করা দুঃসাধ্য। দাৰ্জিলিং নামের উৎপত্তি তুর্জয়লিঙ্গ হইতে হইয়াছে বলিয়া অনেকের ধারণা। পূর্বে তিববতীয় বৌদ্ধদিগের এখানে একটি মঠ ছিল। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে নেপালীরা এঅঞ্চল জয় করার সময় মঠটি বিনষ্ট করে ; এই মঠ সিকিমের প্রসিদ্ধ দাৰ্জিলিং মঠের শাখা ছিল । পুরাতন স্থানেই পাহাড়ের গুহার উপরে মঠটি পুননিৰ্ম্মিত করা হয় ; কিন্তু পরে উহাকে অবজরভেটর পাহাড়ের নীচে ভুটিয়া বস্তীতে তুলিয়া লইয়া যাওয়া হয়। মঠের পুরাতন স্থানটি এখনও পবিত্র বলিয়া গণ্য হয় ; দার্জিলিং শহরের দৃঙ্গ তথায় ভূটিয়াদের ক্ষুদ্র একটি মন্দির প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে এবং অনেকগুলি বৃহৎ প্রোথিত বংশদণ্ডে নানা মাপের বহু রঙীন নিশান ঝুলানো আছে। লোকের বিশ্বাস নিকটস্থ গুহাটি মাটির নীচ দিয়া বরাবর লাস পর্য্যন্ত গিয়াছে। পাহাড়ের উপর পূর্বে যে বৌদ্ধ মঠটি ছিল, তাহাকে “দোর্জে” বলা হইত ; তিববতী ভাষায় দোর্জের অর্থ বজ ; কেহ কেহ বলেন দোর্জের স্থান হইতে দাৰ্জিলিং নামের উৎপত্তি। অবৃজরভেটরী পাহাড়ের নীচে চারিদিক ঘিরিয়া ম্যালরোড় ; ইহাই দাৰ্জিলিংএর প্রধান বেড়াইবার রাস্তা। যাহার দূরে বেড়াইতে চাহেন তাহারা অকল্যাণ্ড রোড় বা জলাপাহাড় রোড দিয়া ঘুম পর্যন্ত যাইতে পারেন। --