পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉やo বাংলায় ভ্রমণ । ہاتی ہے۔ -- ম্যালের নীচে অবস্থিত ভূটিয়া বস্তির বৌদ্ধ মঠ বা গোফ দেখিয়া আসা উচিত। ইহা একটি সাধারণ দ্বিতল বাট ; ইহার চারিদিকে লম্বা লম্বা খুটী পুতিয়া দড়ি দিয়া বহু নিশান ঝুলানো আছে। প্রবেশ দ্বারের দুই পাশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বহু ধৰ্ম্মচক্র আছে। ভিতরে বুদ্ধমূৰ্ত্তি, নানারূপ পূজার উপকরণ এবং বৌদ্ধ পুথির সংগ্রহ আছে। গোস্ফার উপরে রাস্তার ধারে জনৈক মৃত লামার স্মৃতিরক্ষার্থে প্রতিষ্ঠিত একটী চৈত্য আছে । অবৃজরভেটরী পাহাড়ের নীচে ম্যালরোডের এক কোণে বাংলার লাটের প্রাসাদ ও বাৰ্চহিল পার্ক নামক সুন্দর স্বাভাবিক উদ্যান । এইখানে দাজ্জিলিংএর পুরাতন জঙ্গল কিছু রক্ষিত হইয়াছে। বাচহিল হইতে সূৰ্য্যাস্তের দৃশ্য অতীব মনোরম। বাচহিল পার্কের নীচে দাৰ্জিলিংএর যাদুঘর, এই যাতৃঘরে দাৰ্জিলিং জেলার অনেক জীবজন্তু এবং সকল রকম প্রজাপতি সংগ্রহ করা হইয়াছে। এখানকার আর একটি দর্শনীয় স্থান লয়েড বোটানিক্যাল গার্ডেন। মানুষের হাতে তৈয়ারী ৪২ বিঘা জমি জুড়িয়া এই উষ্ঠানটির সহিত বাচহিলের স্বাভাবিক উষ্ঠানের পার্থক্য সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এখানকার গ্রীন হাউসে নানাপ্রকার সুন্দর সুন্দর অৰ্কিড দেখিলে মুগ্ধ হইতে হয়। এখান হইতে আধ মাইল দক্ষিণে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। কাগঝোরা নামে একটি ছোট পাৰ্ব্বত্য নদী এখানে হঠাৎ প্রায় ১০০ ফুট নীচে গিয়া পড়িয়াছে। বোটানিক গার্ডেনের উপরে দার্জিলিংএর বাজারে বহু জাতির লোক দেখিতে পাওয়া যায়। রবিবারে হাটের দিন ফল সঙ্গী প্রভৃতি জিনিষের আমদানি হয় এবং বহু দূর হইতে বহু লোক হাটে আসিয়া থাকে। জলাপাহাড় রোড দিয়া কলিকাতা রোড ধরিয়া মাইল দুই যাইলে ভূটিয়াদের পুরাতন কবরস্থান দেখিতে পাওয়া যায় ; এখানে বহু সমাধি চৈত্য আছে। এই রাস্ত হইতে পৰ্ব্বত ও উপত্যকার দৃশু সত্যই উপভোগ্য। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের প্রসিদ্ধ ছোট গল্প "রাশ”র নবাবজাদীকে পাঠক পাঠিকার স্মরণ থাকিবে ; তাহাকে দার্জিলিংএর এই ক্যালকাটা রোডেই “দেখিতে" পাওয়া গিয়াছিল । শিলিগুড়ি হইতে দার্জিলিং পর্য্যন্ত কার্টরোড নামে যে পকা রাস্ত আছে তাহ দাৰ্জিলিং অতিক্রম করিয়া উত্তরে নামিয়া গিয়া প্রায় পাচ মাইল দূরবর্তী আলিবং বা লেবং পৰ্য্যন্ত গিয়াছে । ইহাও বেড়াইবার পক্ষে সুন্দর রাস্তা, সম্মুখে হিমালয়ের চিরতুষার ও উপত্যক ও স্রোতস্বিনী গুলি ইহাকে মনোরম করিয়াছে। লেবং যাইবার আর একটি রাস্ত ভূটিয়া বস্তীর মধ্য দিয়া গিয়াছে; এ রাস্তায় চড়াই পড়ে, কিন্তু দূর মোটে হুই মাইল । লেবংএ এ অঞ্চলের আর একটি গোরা বারিক আছে এবং এখানকার সমতলমাঠে দার্জিলিংএর ঘোড় দৌড় হয়। আলিবং কথাটির উৎপত্তি লেপচা ভাষার "আলি" অর্থে জিহবা ও “আবং” অর্থে মুখ হইতে। -আলিবং হইতেই ইংরেজীতে লেবং হইয়াছে। বাস্তবিক লেবংকে দেখিলে মনে হয় ইহা যেন দার্জিলিং পাহাড় হইতে জিহবার স্যায় মুখ হইতে বাহির হইয়া আসিয়াছে। লেরং হইতে উত্তরে ছয় মাইল আরও নামিয়া সমুদ্র