পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলা দেশ ᎼᏔ%Ꮌ গু হইতে ৪,০০০ ফুট উচ্চ বাদামতম ডাকবাংলা হইতে দুই হাজার ফুট নীচে অবস্থিত &ই রঙ্গীত নামক নদীর দৃশ্য অতি অপূৰ্ব্ব । নদী পৰ্য্যন্ত , নামিতে আরও তিন মাচল পথ । - - - দাৰ্জিলিং হইতে যে সকল উচ্চ পৰ্ব্বত শৃঙ্গ দেখিতে পাওয়া যায় তাহাদের মধ্যে সম্মুখেই মাত্র ৪৫ মাইল দূরবর্তী কাঞ্চনজঙ্ঘা সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ২৮,১৪৬ ফুট উচ্চ । কাঞ্চনজঙ্ঘা কথাটি তিববতী কাং-ছেন-জোং-গা হইতে আসিয়াছে ; ইহার শাব্দিক অনুবাদ হইল বরফ-বড়-খাজাঞ্জিখানা-পাচ । পাহাড়টির পাচটি শিখর হইতে এইরূপ নাম হইয়াছে। উচ্চতম শিখরটি সূর্য্যোদয় ও সূর্য্যাস্তের সময় সোণার রং ধারণ করে বলিয়া ইহাকে সোণার খাজাঞ্চিখানা বলা হয় ; দক্ষিণের শিখরটি সূর্য্যোদয়ের আগে পৰ্য্যন্ত ধূসরবর্ণ থাকে এবং সূর্য্য উঠিলে রূপার মত ঝক ঝক করে বলিয়া ইহাকে বলে রূপার খাজাঞ্চিখানা ; বাকী শিখরগুলিকে রত্ন, শস্য ও শাস্ত্রের খাজাঞ্চিখানা বলা হয় ; তিববতীয়দের নিকট এইগুলিই পার্থিব সম্পত্তির মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা মূল্যবান। কাঞ্চনজঙ্ঘার-পশ্চিমে সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ২৪,৩১৫ ফুট উচ্চ কাব্রু এবং ২৫,৩০০ ফুট উচ্চ জানো বা কুম্ভকৰ্ণ; কাঞ দেখিতে হই খুটি-ওয়ালা তাবুর মত এবং জন্ম দেখিতে তীক্ষ শৃঙ্গের স্যায়। কাঞ্চনজঙ্ঘার পূর্বদিকে সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ২২,০২০ ফুট উচ্চ পানদিম ; ইহার অর্থ রাজমন্ত্রী— পৰ্ব্বতরাজ কাঞ্চনজঙ্ঘার পাশ্বে দাড়াইয়া আছে বলিয়া ইহার এইরূপ নাম হইয়াছে। পানদিমের পূৰ্ব্বে তুষারাবৃত পৰ্ব্বতশ্রেণী লম্ব চলিয়া গিয়াছে; ইহার মধ্যে প্রধান মোচারমত দেখিতে নরসিং ১৮,১৪৫ ফুট উচ্চ, সিনিওলচু ২২,৫২০ ফুট উচ্চ এবং টেবিলের পৃষ্ঠের স্যায় শিখরযুক্ত কিনচিনঝাউ ২২,৭২০ ফুট উচ্চ। তিববতী ভাষায় কিনচিনঝাউ অর্থে শুশ্রুধারী বৃহৎ বরফের শিখর, পৰ্ব্বতগাত্র হইতে লম্বমান তুষারপিণ্ডগুলি দেখিতে শ্মশ্রুর মত বলিয়াই ইহার এইরূপ নাম । - অজেয় এভারেস্টের তুঙ্গ শিখরে আরোহণ করিতে এ পর্য্যন্ত যত অভিযানকারীর দল আসিয়াছেন, তাহাদের বেশীর ভাগই দার্জিলিংএ আসিয়া রসদ ও কুলি সংগ্ৰহ করিয়াছেন। ইহাদের সকলেই আজ পর্য্যন্ত বিফল হইয়াছেন এবং ম্যালোরী, আভিন্‌ প্রভৃতি এই বীরোচিত কাৰ্য্যে অগ্রসর হইয়া মৃত্যু বরণ করিয়া অপরাজেয় মানবাত্মার অন্তহীন উদ্যমের সাক্ষ্য দিতেছেন । ভারতবাসী হিমালয়কে সত্যই বলিতে পারেন । তুমি ভারতের সাক্ষী তুমি তার গৌরব পতাকা, যত গৰ্ব্ব যত বীৰ্য্য সবই তার তব অঙ্গে লিখা । দাজ্জিলিং-এ রামকৃষ্ণ আশ্রম, গৌড়ীয় মঠ, ব্রাহ্মসমাজ মন্দির প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান আছে। এখানকার সেন্ট এণ্ডজ গির্জায় ভারতবর্ষের প্রথম ভাইসরীন লেডী ক্যানিংএর সম্মানে এটি স্মৃতি ফলক আছে ; তরাইএ স্বাভাবিক দৃশ্বের ছবি আঁকিবার সময় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তাহার, মৃত্যু হয়। বারাকপুরে ইহার সমাধির কথা আগে বলা হইয়াছে। এখানকার বিলাতি হোটেলগুলির মধ্যে মাউন্ট এভারেস্ট হোটেল, বেলভিউ হোটেল প্রভৃতি । প্রসিদ্ধ। অন্যাস্থ্য পাৰ্ব্বত্য নগরী অপেক্ষ বাঙালী ও ভারতবাসীদের পক্ষে দার্জিলিংএ ll -