পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলা দেশ ১৬৯ নে হয় এখানকার পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া যেন মধ্য-এশিয়ার। এখানে প্রতিবৎসর বেম্বর মাসে একটি বৃহৎ মেলা বসিয়া থাকে। নেপাল, সিকিম, ভূটান ও তিব্বত মইতে বহু ব্যবসায়ী এই মেলায় যোগদান করে। এ অঞ্চলের ইহা একটি বিশিষ্ট স্থাৎসরিক অনুষ্ঠান। এখানে বৃষ্টি ও শীতের প্রকোপ দাজ্জিলিং অপেক্ষা অনেক কম। কালিম্পং হইতে সিকিম ও তিব্বতের পথ বাহির হইয়াছে। দাজ্জিলিংএর ডেপুটি কমিশনারের অফিস হইতে প্রকাশিত “নোটস অন টুরজ”এর কথা আগেই বলা হইয়াছে। ইহা ছাড়া শ্ৰীযুক্ত পার্স ব্রাউন রচিত “টুরজ ইন সিকিম” দ্রষ্টব্য। ডাকবাংলা, ছাড়পত্র, কুলী প্রভৃতির ব্যবস্থা আগে হইতে করিতে হইবে । দাজ্জিলিংএর ডেপুটি কমিশনারের অফিস্ হইতে সমস্ত জ্ঞাতব্য তথ্য জানা যাইবে। মহারাজার গোক্ষা, গংটক সিকিমের রাজধানী গংটকে যাইবার তুইটি পথ আছে। প্রধান পথ হইতেছে তিস্তা উপত্যকার রাস্তা ধরিয়া । কালিম্পং ছাড়িয়া প্রথম দিনে রংপো ডাকবাংলায় যাইতে হয়। সিকিম রোড দিয়া তারকোলা হইয়া তিস্তার তীরে কার্টরোড় দিয়া রংপো ১৩ মাইল। তারকোলা যাইতে পথ খুব নামিয়া গিয়াছে ; কেহ কেহ কালিম্পং হইতে কার্টরোড ধরিয়া ২০ মাইল পথ অতিক্রম করিয়া রংপো আসেন। দ্বিতীয় দিনে ১০ মাইল দূরে শুামডং ও তৃতীয় দিনে আরও ১৪ মাইল পথ যাইয়া গংটক। শু্যামডং ও গংটকের মধ্যে রামটেক মঠ পড়ে। গংটকে যাইবার দ্বিতীয় রাস্তা কালিম্পং হষ্টতে প্রথম দিন ১২ মাইল দূরে পিড ডাকবাংলা । দ্বিতীয় দিন ঋষি রংচো ও রোরো নদীর পুল পার হইয়া ১৪ মাইল দূরবত্তী পাকীয়ংএর সুন্দর বাংলায় পৌছিতে হয়। তৃতীয় দিন ১০ মাইল যাইয়া গংটক। গংটকের দুইটা পথই স্বাভাবিক সৌন্দর্ঘ্যে পুর্ণ। গংটক হইতে তুষারাচ্ছন্ন ও জঙ্গলাকীর্ণ পর্বতশ্রেণীর দৃশ্য অতি সুন্দর। কাঞ্চনজঙ্ঘা, পানদিম, নরসিং ও সিনোলচু ব্যতীত আরও ছোট ছোট অনেক তুষারাচ্ছন্ন গিরিশৃঙ্গ দেখা যায়। গংটকে দেখিবার মধ্যে মহারাজার প্রাসাদ ও মঠ বা গোস্ফী, চেরাগাছের সারি দেওয়া রিজ নামক