পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলায় ভ্রমণ טר צ বাদশাহ তাহার অদ্ভূত ক্ষমতা দর্শনে মুগ্ধ হইয়া তাহার আমুগত্য স্বীকার করেন ও বালককে মুক্ত করিয়া দেন। অতঃপর বাদশাহ গাজী সাহেবের নামে মদনমল পরগণার জমিদারী সনদ প্রদান করেন। সুন্দরবনের নিকটবৰ্ত্তী বহু গ্রামে গাজী মোবারক আলি বা সংক্ষেপত: মোবারক গাজী ও র্তাহার ভ্রাত কালু হিন্দু মুসলমান নিৰ্ব্বশেষে পূজিত হন। গাজী সাহেবের দেহত্যাগ সম্বন্ধে নিম্নলিখিত কাহিনীটি প্রচলিত আছে – একবার ভীষণ অনাবৃষ্টি হইয়া অজন্ম উপস্থিত হইলে শিষ্যগণের অনুরোধে গাজী সাহেব খোদার দরবারে আরজি পেশ করিবার জন্য একটি গৃহের মধ্যে গিয়া উহার অর্গল বন্ধ করিয়া দেন এবং প্রত্যেককে সাবধান করিয়া বলেন যে যতক্ষণ তিনি ধ্যানস্থ পল্লী সংগঠন প্রতিষ্ঠান গোসাবা, থাকিবেন, ততক্ষণ যেন কেহ গৃহমধ্যে প্রবেশ না করে। ক্রমে ক্রমে তিন দিন চলিয়া গেল, গাজী সাহেবের বাহিরে আসার কিন্তু কোনই লক্ষণ দেখা গেল না। তখন জনকয়েক লোক নানারূপ আশঙ্কা করিয়া দরজা ভাঙ্গিয়া গৃহমধ্যে প্রবেশ করে এবং দেখিতে পায় যে গাজী সাহেবের দেহ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়িয়া আছে । তিনি দেহত্যাগ করিয়াছেন মনে করিয়া তাহারা সেই গৃহমধ্যেই কবর খুড়িয়া তাহাকে সমাহিত করে। সেই দিনই কিন্তু প্রবল বারিপাত হয় ও রাত্রে গাজী সাহেব জনৈক অনুরক্ত শিষ্যকে স্বপ্নে দেখা দিয়া বলেন যে র্তাহার ধ্যানস্থ দেহকে ভুলবশতঃ মৃতদেহ মনে করিয়া লোকগুলি তাহার কবর দিয়াছে। অম্বুবাচীর সময় এই ঘটনাটি ঘটে। ঘুটিয়ারী শরীফের সুন্দর ও বৃহৎ মসজিদটি গাজী সাহেবের সমাধির উপর নিৰ্ম্মিত। প্রতি বৎসর আযান