পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ $ ጫጫ ও ভাদ্রমাসে গাজী সাহেবের স্মরণার্থে ঘুটিয়ারী শরীফে দুইটি বৃহৎ মেলা হয়। এই :ে নায় বহু মুসলমান ও হিন্দুভক্ত উপস্থিত হইয়া গাজী সাহেবের দরগাহে শিরণি দিয়া কেন । এখানে প্রতি শুক্রবার বহু লোকের সমাগম হয় । ক্যানিং-কলিকাতা হইতে ২৮ মাইল দূর । ক্যানিং, ক্যানিং টাউন বা পোর্ট কানিং মাতলা নামক একটি বিস্তৃত নদীর তীরে অবস্থিত। ইহার উত্তরে বিদ্যাধরী প্রবাহিত। এই স্থানের দেশীয় নাম মাতলা। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে লর্ড ক্যানিংএর সময়ে ভাগীরথী নদীতে অতিমাত্রায় বালি পড়ায় যখন কলিকাতা বন্দর সম্বন্ধে নানারূপ আশঙ্কা হইতেছিল, সেই সময়েই পোর্ট ক্যানিংএর সৃষ্টি হয়। পরে অবশ্য ভাগীরথীর বিশেষ কোন পরিবর্তন হয় নাই এবং কলিকাতা হইতে বন্দরও আর স্থানান্তরিত করিতে আদর্শ কৃষিক্ষের, গোসাবা হয় নাই, সুতরাং ক্যানিংএর আর তাদৃশ উন্নতি হয় নাই। ক্যানিং বন্দরের জন্য মাতলার উপর পাঁচটি এবং বিদ্যাধরীতে দুইটি জেটি, ডক ও ট্রামওয়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল ; ইঙ্গার এখন কিছুই নাই। ১৮৬৫-৬৬ খৃষ্টাব্দে ২৬টি জাহাজ আসিয়াছিল, কিন্তু পাচ সর পরে একটি জাহাজও ভিড়ে নাই। বৰ্ত্তমানে এই স্থান পোর্ট ক্যানিং জমিদারী সম্পানির অধিকারভুক্ত। ইহা একটি বাণিজ্যপ্রধান স্থান । সুন্দরবন অঞ্চলের বহু গণ্যদ্রব্য এই স্থান দিয়াই যাতায়াত করে । প্রকৃতপক্ষে ক্যানিংএর অপর পার হইতেই সুন্দরবন এলাকার আরম্ভ। ক্যানিংএর অবস্থান অতি সুন্দর, নদীর জলোচ্ছাস হইতে * }র রক্ষা করিবার জন্য নদীতীর দিয়াই একটি দীর্ঘ বাধ আছে। এই বাধের উপর ইহঁতে নদীর দৃশু সত্যই মনোরম ৷ কলিকাতা হইতে ছাত্রছাত্রীরা এবং অন্যান্য বহু 12