পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ Σίνθ বহড়র নিকটবর্তী ময়দা গ্রামে এক পুরাতন কালী আছেন। ইনি ময়দার মহাকালী Iামে পরিচিত। ইহার মাহাত্ম্য সম্বন্ধেও এতদঞ্চলে বহু কিংবদন্তী প্রচলিত আছে। জয়নগর-মজিলপুর—কলিকাতা হইতে ৩১ মাইল দূর। জয়নগর ও মজিলপুর পাশাপাশি অবস্থিত দুইটি ভিন্ন গ্রাম হইলেও সাধারণের নিকট ইহা “জয়নগর-মজিলপুর” এই যুগ্মনামে পরিচিত। এই গ্রাম দুইটির স্তায় বদ্ধিষ্ণু ভদ্রপল্লী এতদঞ্চলে আর নাই। এই উভয় গ্রামেই প্রাচীন ও আধুনিক কালের বহু দেবায়তন ও দীঘকা অবস্থিত। এখানে একটি মিউনিসিপ্যালিটি আছে। সুপ্রসিদ্ধ সাহিত্যিক ও ব্রাহ্ম-সমাজের বিশিষ্ট নেতা আচাৰ্য্য পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় জয়নগর-মজিলপুরের অধিবাসী ছিলেন। তাহার রচিত “নিমাই সন্ন্যাসের” সুন্দর কবিতাটি বোধ হয় অনেকেরই মুখস্থ আছে। শিবনাথের “মেজ বউ” “নয়নতারা” প্রভৃতি উপন্যাসগুলিও পাঠক সমাজে সুপরিচিত। মুকবি গিরীন্দ্র মোহিনী দাসী মজিলপুরে জন্মগ্রহণ করেন। জয়নগরে অতি উৎকৃষ্ট খইয়ের মোয়া ও সুগন্ধি পয়রা গুড় পাওয়া যায়। পঞ্চম দোলযাত্রা উপলক্ষে এখানে ১০ দিন ব্যাপী একটি মেলা বসিয়া থাকে ।

- বদরিকানাথ শিব, বড়াশী মাধবপুর মথুরাপুর রোড-কলিকাতা হইতে ৩৪ মাইল দূর। স্টেশন হইতে_প্রায় মাইল পূৰ্ব্ব-দক্ষিণ কোণে বড়াশী মাধবপুর গ্রামে সুপ্রসিদ্ধ চক্ৰতীর্থ অবস্থিত। নকটেই ছত্রভোগে ত্রিপুরাসুন্দরী দেবীর মন্দির। বড়াশী গ্রামে বদরিকানাথ নামক এক