পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ 는 이 ( مساس مساسیسه سی. একটি চতুর্দশপদী কবিতায় অমর করিয়া রাখিয়াছেন। র্তাহার অনুরাগী জনৈক সাহিত্যিকের উদ্যোগে এই কবিতাটি মৰ্ম্মরপ্রস্তরে উৎকীর্ণ হইয় তাহার পৈতৃক ভবনের নিকটবৰ্ত্তী কপোতাক্ষীতীরে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। স্বীয় সমাধি স্তম্ভের জন্য রচিত কবিগয়ও মাইকেল মধুসূদন আত্মপরিচয় প্রসঙ্গে বলিয়াছেন, “যশোরে সাগরদাড়ি কপোতাক্ষী তীরে জন্মভূমি"। এই নদীটি কপোতাক্ষ নদ রূপেও অভিহিত হয়। কপোতাক্ষীতীরবর্তী সাগরদাড়ি শিক্ষিত বাঙালীর নিকট সাহিত্য-তীর্থ রূপে পরিগণিত হওয়া উচিত । মধুসূদনের ভ্রাতুপুত্র প্রসিদ্ধ মহিলা কবি মানকুমারী সাগরদাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। কপিলমুনি ঝিকরগাছা ঘাট হইতে কপিলমুনি স্টীমার পথে ৪০ মাইল । ইহাও কপোতাক্ষী তীরে অবস্থিত এবং একটি বাণিজ্য প্রধান স্থান। এখানে কপিলেশ্বরী নামে এক অতি প্রাচীন কালী আছেন । এই কালী কপিলমুনি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। সাংখ্যকার মহৰ্ষি কপিল হইতে এই কপিল মুনি পৃথক ব্যক্তি। প্রবাদ অনুসারে ইনি পুণ্ডরাজ পৌণ্ডক বাস্থদেবের ভ্রাতা ছিলেন । পৌণ্ডক বাসুদেব শ্ৰীকৃষ্ণের সমসাময়িক ও তাহার একজন প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। অবশেষে শ্ৰীকৃষ্ণের হস্তেই তিনি নিহত হন। পৌণ্ডকের ভ্রাত কপিল আবাল্য বিষয় বিরক্ত ছিলেন। স্বীয় ভ্রাতা পৌণ্ডকের ধৰ্ম্মবিগর্হিত আচরণে ক্ষুব্ধ হইয়া তিনি পুণ্ড, রাজ্য (বৰ্ত্তমান উত্তরবঙ্গ) ত্যাগ করিয়া সুদূর দক্ষিণ দেশে আগমন করেন এবং স্বীয় নামে তথায় এক কালীমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তাহার নাম হইতেই এই স্থানের নাম কপিলমুনি হয়। কপিলেশ্বরীর পুরাতন মন্দির ভাঙ্গিয়া যাইলে ১৮৫০ খৃষ্টাব্দে ম্যাকেনজী নামক ইংরেজ জমিদার একটি নূতন মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দেন। ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দের সাইক্লোনে এই মন্দিরটিও পড়িয়া যায় এবং কালীমূৰ্ত্তি এখন অন্য একটি মন্দিরে প্রতিষ্ঠিতা । প্রতি বৎসর বারুণী উপলক্ষে ১৩ দিন ব্যাপী একটি মেলা কপিলের স্মৃতি জাগরূক রাখিয়াছে ; স্থানীয় লোকের বিশ্বাস কপিলের তপস্যাগুণে বারুণীর দিন এই স্থানে কপোতাক্ষী নদীতে গঙ্গা প্রবাহিত হন। কপিলমুনির বাজার হইতে এক মাইল উত্তরপূৰ্ব্ব কোণে আগ্রী নামে একটি গ্রাম আছে। এই গ্রামে তিনটি অতি পুরাতন টিবি বা স্তৃপ দেখিতে পাওয়া যায়। অনেকে অনুমান করেন যে এইগুলি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ। একটি ঢিবিকে খুড়িয়া পুরাতন ইষ্টক নিৰ্ম্মিত বাট পাওয়া গিয়াছে। এইরূপ আরও ঢিবি দক্ষিণে চাদখালি ও উত্তরে টাল পর্যন্ত মাঝে মাঝে দেখিতে পাওয়া যায়। কপিলমুনি গ্রামে জাফর আলি নামে একজন মুসলমান সাধুর সমাধি আছে। প্রবাদ, ধনপতি সদাগরের দ্বিতীয় পত্নী খুল্পনা কিছুকাল কপিলমুনিতে বাস করিয়াছিলেন। নিকটবর্তী খুল্লনার খাল ও খুল্পনার পুল এখনও তাহার স্মৃতি বহন করিতেছে বলিয়া কথিত । যশোহর—কলিকাতা হইতে ৭৫ মাইল দূর । জেলার সদর শহর যশোহর বা পশোর ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত। যশোহরের নীচে ভৈরবনদ একরূপ মজিয়া যাওয়ার ফলে শহরটির পূর্ব সমৃদ্ধির আর কিছুই নাই। খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দী হইতে ষোড়শ