পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ> বাংলায় ভ্রমণ মন্দিরটি ১৫৯০ খৃষ্টাব্দে রূপ গোস্বামীর প্রচেষ্টায় স্থাপিত হয়। লাল পাথরের মদনমোহন মন্দিরটি সনাতন গোস্বামী নিৰ্ম্মাণ করান । এই মন্দিরের উপরের দিকে একটি সংস্কৃত শ্লোক প্রথমে বাংলা লিপিতে এবং পরে দেবনাগরীতে খোদিত আছে। অনেকে অনুমান করেন যে তপনভাগ ও দেয়াপাড়ার পূর্বনাম যথাক্রমে তপোবনভাগ ও দেবপল্লী ছিল। এই তুই স্থানের সহিতও রূপ-সনাতনের সম্বন্ধ ছিল । কেহ কেহ আবার এই সকল স্থানের সহিত লক্ষ্মণসেনের সংশ্রব ছিল বলিয়া অনুমান করেন। নওয়াপাড়া-কলিকাতা হইতে ৯১ মাইল দূর । স্থানটি ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত। এখানে একন বিখ্যাত পীর ছিলেন । কয়েক বৎসর হইল তিনি পরলোক গমন করিয়াছেন । স্টেশন হইতে প্রায় দেড় মাইল দূরে বুনো নামক গ্রামে এক প্রসিদ্ধ শীতলা আছেন। তথায় বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার বহু যাত্রীর সমাগম হয়। তালতলাহাট -- কলিকাতা হইতে ৯৩ মাইল দূর । এই স্থান হইতে প্রায় দেড় মাইল দূরে ভৈরব নদের তীরে ভাটপাড়া নামক গ্রামে জগন্নাথদেবের মন্দির আছে। প্রায় সাড়ে চার শত বৎসর পূর্ব ইষ্টতে এই বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত আছেন। কথিত আছে, জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম বিগ্রহ, গুপ্তপুরী ভাটপাড়া সন্ন্যাস গ্রহণের পর শ্রীচৈতন্যদেব যখন নীলাচল বা পুরীতে অবস্থান করিতেছিলেন সেই সময়ে ভাটপাড়া নিবাসী দয়ারাম গোস্বামী নামক জনৈক ভক্ত বৈষ্ণব পুরীতে জগন্নাথদেব ও শ্রীচৈতন্যদেবকে দর্শন করিবার আশায় গৃহ হইতে বহির্গত হন। বহুদিন ধরিয়া পদব্রজে বহু পথ অতিক্রম করিবার পর ওড়িষ্যায় পৌঁছিয়া দয়ারাম সঙ্কটাপন্ন পীড়ায় আক্রান্ত হইয়া পথিমধ্যে অসহায় অবস্থায় পড়িয়া থাকেন। তাহার ভক্তি ও নিষ্ঠায় আকৃষ্ট হইয়া জগন্নাথদেব এক ব্রাহ্মণের বেশ ধরিয়া তাহাকে দর্শন দেন এবং গৃহে ফিরিয়া যাইত 14m 等