পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२$९ বাংলায় ভ্রমণ দৌলতপুরের সংলগ্ন মহেশ্বর পাশা গ্রামে প্রায় ২০০ বৎসরের অধিক প্রাচীন একটি সুন্দর জোড়-বাংলা মন্দির আছে। গোপীনাথ গোস্বামী নামক একজন সাধক গোবিন্দ রায় বিগ্রহের জন্য এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। দৌলতপুরের প্রায় বিপরীত দিকে ভৈরব নদের উত্তর তীরে অবস্থিত সেনহাটি একটি প্রাচীন বৈদ্য প্রধান গ্রাম। কেহ কেহ বলেন যে এই গ্রামের সহিত সেনবংশের বিখ্যাত রাজা লক্ষ্মণ সেনের ঘনিষ্ঠ সংশ্রব ছিল। এই গ্রামের বিজয় চণ্ডীতলা নামক স্থানের সহিত সেনবংশীয় রাজা বিজয় সেনের স্মৃতি বিজড়িত বলিয়া অনেকের অভিমত। সেনহাটি গ্রামে কয়েকটি পুরাতন মন্দির ও দীঘি আছে। সেনহাটিতে “জরনারায়ণ” নামে এক জ্বরের ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত আছেন । “সস্তাবশতক’ প্রণেতা স্বভাব-কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার সেনহাটর অধিবাসী ছিলেন। ভরতভায়ন-দৌলতপুর হইতে ১৩ মাইল দক্ষিণে বুড়ীভদ্র নদীর তীরে অবস্থিত ভরতভায়না একটি অতি প্রাচীন স্থান। এখানে প্রায় ৭০ ফুট উচ্চ গোলাকৃতি একটি প্রকাণ্ড ইষ্টক স্তৃপ আছে। ইহার পরিধি ৯০০ ফুটেরও অধিক হইবে । স্থানীয় লোকেরা ভরত ভায়নার স্তুপ (প্রত্নস্তৰ বিভাগের সৌজন্তে । ইহাকে “ভরত রাজার দেউল’ বলিয়া থাকেন। নিকটবর্তী গেীরঘোনা গ্রামে একটি ইষ্টক স্তৃপ ভরত রাজার বাট বলিয়া পরিচিত। এই ভরত রাজা কে ছিলেন তাহা আজিও নির্ণীত হয় নাই। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ অনুমান করেন যে ইহা কোন প্রাচীন বৌদ্ধ স্তুপের ধ্বংসাবশেষ। অনেকের ধারণা এই স্তৃপটি খনন করা হইলে কিছু ঐতিহাসিক তথ্যের সন্ধান মিলিতে পারে। প্রাচীনকালে যশোহর-খুলনা সমতট রাজ্যের অন্তর্গত