পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাঙ্গলাদেশ २९& " مستعبیر ঈশ্বরীপুর হইতে ৩ মাইল দূরে গোপালপুর গ্রামে প্রতাপাদিত্য ৪টি মন্দির প্রতিষ্ঠা বরিয়াছিলেন বলিয়া কথিত ; ইহাদের ৩টি একেবারে পড়িয়া গিয়াছে এবং চতুর্থটির নীচের তলা কিছু দাড়াইয়া আছে; এই মন্দিরের উপর তলায় প্রতাপাদিত্য পুরী হইতে অতি সুন্দর গোবিন্দ বিগ্রহ আনিয়া স্থাপন করিয়াছিলেন। বল্লভাচাৰ্য্য নামক একজন ওড়িয়া ব্রাহ্মণকে এই বিগ্রহের সেবার জন্য তিনি সঙ্গে করিয়া আনিয়াছিলেন। বিগ্রহটি এখন ঈশ্বরীপুর হইতে ৫ মাইল পশ্চিমে কাটুনিয়া গ্রামে আছে। এই গ্রামে প্রতাপাদিত্যের খুল্লতাত বংশীয় কয়েক ঘরের বাস আছে। এখানকার দোল উংসর সমগ্র খুলনা জেলায় বিশেষ প্রসিদ্ধ। ঈশ্বরীপুর হইতে কয়েক মাইল উত্তর-পশ্চিমে ধামাইল বা ডামরেলী পরগণাব অন্তর্গত মুস্তাফাপুর গ্রামে একটি বিরাট নবরত্ন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আছে ; ইহার নয়টি চূড়াই পড়িয়া গিয়াছে, ইহা ষোড়শ শতাব্দীর তৃতীয় পাদে প্রতাপাদিত্যের পিতা রাজা বিক্রমাদিত্য কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল বলিয়া কথিত । ইহার মধ্যে কোনও মৃত্তি প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। ইহা সমাজ মন্দির রূপে সমাজপতিগণের মিলন ও আলোচনার জন্য নিৰ্ম্মিত হয়। রাজা বিক্রমাদিত্য সমাজ ব্যবস্থার জন্য নয় জনকে নিযুক্ত করিয়া উজ্জয়িনীর মহারাজা বিক্রমাদিত্যের ন্যায় তাহাদের নবরত্ব নাম দেন এবং তাঁহাদের মিলনকেন্দ্র বলিয়া মন্দিরটির নাম হয় নবরত্ন মন্দির । গোবরডাঙ্গার নিকটস্থ ইছাপুরে নবরত্ন মন্দির ব্যতীত যশোহর খুলনায় এত বড় মন্দির আর কোথাও নাই। সৌন্দর্য্যে ও কারুকার্য্যে মন্দিরটি অপূৰ্ব্ব এবং দিনাজপুরের প্রসিদ্ধ কান্তজীর মন্দিরের কথা মনে করাইয়া দেয়। গর্ভ মন্দিরের পশ্চিম ও দক্ষিণগাত্রে দশ অবতার, যুদ্ধযাত্রা প্রভৃতি নানারূপ চিত্র অঙ্কিত। ১৫৯৮ খৃষ্টাব্দে পর্তুগীজ জেসুইট পাদরী ফ্রানসিস্ ফারনানডেজ, ডোমিনিক ডিজোসা, মেলকিওর ফনসেক ও এনড্র বাউয়েস প্রথম বঙ্গে আসেন। ফরনানডেজ ও ফনস্কোর চিঠিপত্রে যে চ্যাণ্ডিকানের রাজার কথা আছে, তিনি প্রতাপাদিত বলিয়া স্থিরীকৃত হইয়াছে। ইহাদের চিঠিপত্র প্রভৃতি হইতে ডুজারিক যে ইতিহাস প্রণয়ন করেন তাহাতে প্রতাপাদিত্যের রাজধানীতে জেসুইটগণের গীর্জা প্রতিষ্ঠার কথা আছে ; ইহা আগে বলা হইয়াছে। চ্যাণ্ডিকানের অবস্থান সম্বন্ধে ঐতিহাসিকগণ অনুমান করেন যে ধূমঘাট এবং নিকটবর্তী স্থানই এই চ্যাশুিকান। প্রতাপাদিতোর পিতা মহারাজ বিক্রমাদিত্য গৌড়েশ্বর দাউদের নিকট হইতে সুন্দরবনে যে ভূসম্পত্তি প্রাপ্ত হইয়া ইতিহাস বিশ্রুত যশোহর রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন তাহার নাম চাদ খা চক। এই চাদ খা শব্দের বৈদেশিক বিকৃতি চ্যাণ্ডিকান বলিয়া অনুমিত হয়। প্রতাপাদিত্যের রাজত্বের প্রায় প্রারম্ভেই জেসুইট পাদরীগণ তাহার নিকট আসেন ; সুতরাং তখনও পুরাতন নাম চাদ খা টিকিয়া থাকিবারই কথা ; নূতন নাম যশোহর একেবারে ইহাকে চাপা দিতে পারে নাই । প্রতাপাদিত্যের সময় রাজধানী ঈশ্বরীপুরকে কাশী বলা হইত ; রাজধানীর শহরতলী ভূতি পূর্বদিকে কপোতাক্ষী পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল। উপরে বর্ণিত গোপালপুরে •y প্রকাও দীঘি আছে, উহাকে মণিকণিকা বলা হইত। কাশীর অপর পারে স্থিত

& s