পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిరిన - বাংলায় ভ্রমণ মুর্শিদাবাদে কয়েক-মাস বন্দী থাকিবার পর তিনি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন, কেহ কেহ বলেন তিনি বিষপানে আত্মহত্যা করেন। মুর্শিদাবাদে গঙ্গাতীরে তাহার শ্রাদ্ধ হইয়াছিল । মহম্মদপুরে সীতারামের বহু কীৰ্ত্তি আজিও বিদ্যমান আছে। উহাদের মধ্যে প্রাচীন দুর্গের ধ্বংসাবশেষ, রামসাগর, মুখসাগর ও কৃষ্ণসাগর নামক দীঘি, দোলমঞ্চ ও রাজভবনের ধ্বংসাবশেষ, সিংহদরওয়জ, মালখানা, তোষাখান, দশভুজ মন্দির, লক্ষ্মীনারায়ণের অষ্টকোণ মন্দির, কৃষ্ণজীর মন্দির প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। মহম্মদপুরের দুর্গটি প্রায় সমচতুষ্কোণ ; ইহার প্রধান প্রবেশদ্বার পূর্ব দিকে অবস্থিত। অতীতে এই দুর্গের চতুৰ্দ্দিকস্থ খাত দিয়া মধুমতীর স্রোত প্রবাহিত হইত। সীতারামের দুইটি প্রধান বড় কামানের নামকরণ হইয়াছিল কালে খ ও ঝুম ঝুম খা । রামসাগর দীঘিটি দৈর্ঘ্যে প্রায় সীতারামের দোলমঞ্চ, মহম্মদপুর ( প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সৌজষ্ঠে ] ১৫০০ ফুট ও প্রস্থে ৬০০ ফুট । ইহার জল এখনও বেশ নিৰ্ম্মল ও ব্যবহারোপযোগী আছে । মুখসাগরের মধ্যে একটি দ্বীপ আছে। কৃষ্ণসাগর দীঘিটি মহম্মদপুর দুর্গের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কানাই নগর গ্রামে অবস্থিত। এই দীঘিটির আয়তন ১০০০ ফুট x ৩০০ ফুট । এই গ্রামে সীতারাম রায়ের প্রতিষ্ঠিত হরে-কৃষ্ণ বিগ্রহের একটি পঞ্চরত্ন মন্দির আছে। মন্দিরটি অতি সুন্দর কারুকার্য্য বিশিষ্ট, ইহাই সীতারামের সর্বাপেক্ষা বৃহৎ ও উচ্চ মন্দির। মন্দির গাত্রে কৃষ্ণ বলরাম ও নানা দেব-দেবীর ছবি সুন্দর ও নিখুঁত ভাবে চিত্রিত আছে। পূর্ব দিকের মন্দির গাত্রের কারুকার্য্যই সর্বাপেক্ষা সুন্দন। গর্ভগৃহে রাধাকৃষ্ণের মৃত্তি প্রতিষ্ঠিত ; এই জন্য স্থানটির নাম হইয়াছিল কানাই নগর বা যত্নপতি নগর। এখানে অষ্টপ্রহর হরিনাম কীৰ্ত্তন হইত। এ অঞ্চলে এখনওঁ \.