পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

는 8이 বাংলায় ভ্রমণ বরিশাল শহরে খৃষ্টান মিশনারীগণের অনেকগুলি কৰ্ম্মকেন্দ্র আছে। ১৮৪৪৷৪৫ খৃষ্টাব্দে এখানে যে ইংরেজ কলেক্টর ছিলেন, তিনি একটি বাঙ্গালী মহিলাকে বিবাহ করিয়াছিলেন এবং তাহার বাটীর সম্মুখে সমারোহে চড়ক পূজা করিতেন। ১৮০১ খৃষ্টাব্দের পূর্বে জেলার সদর বরিশাল শহর হইতে ১৩ মাইল দক্ষিণে বাখরগঞ্জ গ্রামে ছিল ; ইহা বরিশাল পটুয়াখালি স্টীমার পথে রঙ্গ শ্ৰী স্টেশনের পার্শ্বে অবস্থিত ; রঙ্গ শ্ৰী শীতল পাটীর জন্য প্রসিদ্ধ। মুর্শিদাবাদ নবাব-সরকারের কৰ্ম্মচারী আগা বাখরের নাম হইতে গ্রামটির নাম হইয়াছে বাখরগঞ্জ এবং এই গ্রামে জেলায় সদর অবস্থিত ছিল বলিয়া সমগ্র জেলারও নাম হইয়াছে বাখরগঞ্জ । ১৭৪১ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৭৫৩ খৃষ্টাব্দে র্তাহার মৃত্যু পৰ্য্যন্ত আগা বাখর কার্য্যতঃ এই অঞ্চলের সৰ্ব্বময় শাসক ছিলেন । ১৭৫০ খৃষ্টাব্দের পরে তিনি ঢাকায় অবস্থান করিয়া চট্টগ্রামের শাসনভার গ্রহণ করেন । ১৭৫৩ খৃষ্টাব্দে তিনি নায়েব নাজিমকে হত্যা করিলে পরদিন স্বয়ং ঢাকায় নিহত হন । আগা বাখরের মৃত্যুর পর এ অঞ্চল রাজা রাজবল্লভের অধিকারে আসে। কথিত আছে তিনি নিজ প্রতাপ বৃদ্ধি করিবার জন্য ব্যাণ্ডেল হইতে কতকগুলি পর্তুগীজ পরিবার আনাইয়া বাখরগঞ্জ গ্রামের ৩ মাইল দক্ষিণে শিবপুর গ্রামে বসতি স্থাপন করান। এই গ্রামে এখনও একটি পর্তুগীজদিগের গীর্জা আছে এবং গ্রামটি পাত্ৰী শিবপুর নামেও অভিহিত হয়। এখানকার গীর্জাটি ও খৃষ্টানগণ মাদ্রাজের মায়লাপুরের বিশপের ডাই ওসীসের অন্তর্গত। বাখরগঞ্জ-শিবপুর অঞ্চল চাউল ও সুপারির কারবারের জন্য প্রসিদ্ধ। শিবপুরের ডোমিঙ্গে ডিসিলভ নামক এক ব্যক্তি চাউলের কারবারে প্রভূত অর্থ উপার্জন করেন। প্রতি বৎসর র্তাহার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে তাহার চরম পত্র অনুসারে খৃষ্টান, মুসলমান ও হিন্দু দরিদ্রদিগের মধ্যে ৫০০ টাকা বিতরিত হয়। বরিশাল হইতে ৫ মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে সুজাবাদ গ্রামে একটি পুরাতন দুর্গের ভগ্নাবশেষ আছে। সম্রাট সাজাহানের পুত্র শাহ সুজা যখন বাংলার মুবাদার ছিলেন, তখন মগদিগের আক্রমণ হইতে দেশ রক্ষা জন্য এই তুর্গটি নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। সুজাবাদ গ্রাম এখনও শাহ সুজার নাম বহন করিতেছে। বরিশাল হইতে ৬ মাইল উত্তর পশ্চিমে লাখুটিয়া গ্রামে রায় উপাধিধারী প্রসিদ্ধ জমিদার বংশের বাস। লাখুটিয়া হইতে বরিশাল পর্য্যন্ত একটি কাটা খাল আছে । এই রায় বংশের ৬ইন্দ্রলাল রায় প্রথম বাঙালী বৈমানিক সেনানীর কার্য্য করেন ; গত মহাযুদ্ধে তিনি অনেকগুলি শত্রুপক্ষীয় বিমানপোত ধ্বংস করিয়া অ বীরের মত নিহত হন। --মাধব পাশা—বরিশাল শহর হইতে ৭ মাইল উত্তর পশ্চিমে মাধব পাশা একটি ইতিহাস প্রসিদ্ধ গ্রাম। বরিশাল হইতে মাধব পাশা পৰ্য্যন্ত একটি রাস্তা আছে। মুঘলযুগে বাখরগঞ্জ জেলা সরকার বাকলার অন্তভূক্ত ছিল। তৎপূর্বে এই অঞ্চলের নাম ছিল চন্দ্রদ্বীপ। এখনও এখানকার পরগণার নাম বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ। প্রবাদ, ইতিহাস বিশ্রুত রাজা দনুজমর্দনদেবের গুরু তপস্বী চন্দ্রশেখর চক্ৰবৰ্ত্তীর