পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ S8& বঙ্গ ইহাই মুসলমান শাসনকালের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন মসজিদ ও নিদর্শন। পটুয়াখালি গুইতে আমতলি থানা প্রায় ৪ ঘণ্টার রাস্তা; এখানে অনেক মগের বাস আছে। পটুয়াখালি-খেপুপাড়া স্টীমার পথে গলাচিপা, ৪ ঘণ্টার রাস্তা ; এই থানায় বহু মগ বাস করেন। গলাচিপা হইতে কিঞ্চিদধিক আরও ৪ ঘণ্ট। দক্ষিণে যাইলে নীলগঞ্জ নদীর উত্তর কুলে খেপুপাড়া গ্রাম। এখানকার খেপু নামধেয় জনৈক মগ অধিবাসীর নাম হইতে গ্রামের নাম হইয়াছে খেপুপাড়া। ইহা টিয়াখালী নামক সরকারী আবাদের অংশ। এখান হইতে নৌকাপথে বাহির সমুদ্রের উপর কুয়াকাটা গ্রাম নিকটেই। কুয়াকাটার এক মাইল পূর্বে লাটাচাপনি গ্রামে সাগর সৈকতে একটি বালিয়াড়ির উপর একটি স্থদের ডাক-বাংলা আছে। এখানকার সমুদ্রের দৃশ্ব অতি মনোরম ৷ নদী পথের দৃষ্ঠা ভোলা—বরিশাল-সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম স্টীমার পথে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার পথ। ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দে ভীষণ বন্যার পর ১৮৭৭ খৃষ্টাব্দে দক্ষিণ সাহাবাজপুর মহকুমা সদর এই গ্রামে স্থানান্তরিত করা হয়। তদানীন্তন সদর আলা ভরমেশ চন্দ্র দত্ত আই সি এস্ মহাশয় স্থানটি নির্বাচন করেন। ইহা তেতুলিয়। বা ইলস নদীর পূর্বকূলে হুই মাইল দূরে অবস্থিত। এখন ইহা একটি প্রসিদ্ধ বাণিজ্যের কেন্দ্র হইয়া উঠিয়াছে। সুপারি, লঙ্কা, নারিকেল এবং পানের কারবারের জন্য ইহা প্রসিদ্ধ। দৌলতখা-বরিশাল-মন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম স্টীমার পথে ভোলার এক স্টেশন পরে সাহাবাজপুর দ্বীপে মেঘনা নদীর পশ্চিমকুলে অবস্থিত। ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দের বস্তায় ইহার বিশেষ ক্ষতি হইয়াছিল। ইহা সুপারির কারবারের একটি বিশেষ কেন্দ্র। এ অঞ্চলে