পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.२१v বাংলায় ভ্রমণ খাত দৃষ্ট হয়। এই দীঘির দক্ষিণ-পূর্ব তীরে মুরারি গুপ্তের ভবন অবস্থিত। এখানকার মন্দির মধ্যে রামসীতার বিগ্রহ স্থাপিত আছেন । চৈতন্ত মঠের নিকটে গেীরকিশোর দাস বাবাজীর সমাধি মন্দির ও ললিতাপ্রিয় দাস বাবাজীর সমাধি মন্দির অবস্থিত। শেষোক্ত মন্দির মধ্যে চন্দ্রশেখর আচাৰ্য্য ও র্তাহার পত্নীর মূৰ্ত্তি আছে। (ঙ) চাদকাজীর সমাধি ও বল্লাল ঢিবি ঃ- মায়াপুর হইতে প্রায় অদ্ধ মাইল উত্তরে বামনপুকুর নামক গ্রামে চাদকাজীর সমাধি ও মহারাজ বল্লাল সেনের প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ বল্লাল চিবি দৃষ্ট হয়। চাদকাজীর প্রকৃত নাম মৌলানা সিরাজুদ্দিন। চাদকাঙ্গীর সমধি, বমনপুকুর কথিত আছে, তিনি গৌড়েশ্বর হুসেন শাহের শিক্ষক ছিলেন । এই কাজী প্রথমে শ্রীচৈতন্যদেবের সংকীৰ্ত্তনে বাধা দেন ও একবার সংকীৰ্ত্তনকারিগণের খোল ভাঙ্গিয়া দিয়াছিলেন । র্তাহার আদেশে নগরমধ্যে সংকীৰ্ত্তন রহিত হইলে, শ্রীচৈতন্যদেব ঐ আদেশ অগ্রাহ্য করিয়া এক বিরাট সংকীৰ্ত্তন শোভা-যাত্রার সহিত কাজীর ভবনে গিয়া উপস্থিত হন এবং যুক্তি তর্কের দ্বারা তাহাকে স্বমতে আনয়ন করেন। কাজীর সমাধির উপর প্রায় চারিশত বৎসরের প্রাচীন একটি শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট গোলক-চাপা ফুলের গাছ আছে। এত বড় ও এত প্রাচীন গোলক-চাপ গাছ বড় একটা দেখা যায় না। একটি প্রাচীর বেষ্টিত স্থানের মধ্যে এই সমাধিটি অবস্থিত। ভক্ত বৈষ্ণবগণ এই সমাধিকে. প্রণামী, অর্মমা ও প্রদক্ষিণ করিয়া থাকেন। নিকটেই কাজীর প্রাসাদের 17а