পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१8 বাংলায় ভ্রমণ পদধূলি তিনি বক্ষে ধারণ করিতে চাহেন। মসজিদের দ্বারে একখণ্ড কষ্টি পাথরে ইরাণীয় ভাষায় লিখিত আছে “ স্বৰ্গ মৰ্ত্ত্য উভয় লোকের যিনি গৌরব, আরবের মহম্মদের জয় হউক। যে ব্যক্তি তাহার দ্বারের ধূলি নহে, তাহার মস্তকে ধূলি বৰ্ষিত হউক।" মানসিক করিয়া বহু লোকে এক্ট সমাধির উপর মালার অর্ঘ্য দিয়া থাকেন। ১৭৮০ খৃষ্টাব্দে শিল্পী হজেস এই মসজিদ দেখিয়াছিলেন এবং ইহার একটি রঙীন চিত্র তাহার Select Views in India & Co offizzo of Hisgr. কাটরা মসজিদের অনতিদূরে দক্ষিণ-পূর্বদিকে গোবরানালার উপর শহর রক্ষার জন্য মুর্শিদকুলী খা একটি তোপখানা নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। মহল্লাটি এখনও তোপখানা নামে পরিচিত। অতীতের স্মৃতি চিহ্ন স্বরূপ জাহানকোষ বা জগজ্জয়ী নামে একটি প্রকাও - و او را به هم محیه قم هم $ জাহানকোষ কমান কামান পড়িয়া রহিয়াছে । ইহা দৈর্ঘ্যে ১৮ ফুট এবং পরিধিতে ৪০ ফুট । বহুকাল জমিতে পড়িয়া থাকার সময় নীচ হইতে একটি অশ্বথ গাছ জন্মিয়া তুইটি গুড়ির সাহায্যে কামানটিকে ভূমি হইতে প্রায় ১৮ ইঞ্চি উপরে উঠাইয়াছে। কামানের গায়ে ইরাণীয় ভাষায় লিখিত নয় খণ্ড পিতলের ফলক আছে । এই ফলক হইতে জানা যায় যে সাজাহানের রাজত্বকালে ইসলাম খাঁ যখন বাংলার মুবাদার, তখন জাহাঙ্গীর নগরে দারোগ শের মহম্মদ ও পরিদর্শক হরবল্লভ দাসের পর্যবেক্ষণে প্রধান কৰ্ম্মকার জনর্দিন ১০৪৭ হিজরা জমাদিয়স সানি মাসে ( অক্টোবর ১৬৩৭ খৃষ্টাব্দে ) এই কামান নিৰ্ম্মাণ করেন। ইহার ওজন ২১২ মণ এবং ইহাতে ২৮ সের বারুদ লাগে বলিয়া লিখিত আছে। সাধারণ লোকে কামানটিকে সি দূর লিপ্ত করিয়া পুষ্প, তুষ্ক ও মিষ্টান্ন দিয়া পূজা করিয়া থাকে। মুর্শিদকুলী খাব মৃত্যুর পর তাহার জামাতা সুজাউদ্দীন খা বা সুজাউদ্দৌলা বিহার ও ওড়িষ্যার সুবাদারী প্রাপ্ত হন । তিনি শাসন কাৰ্য্য পরিচালনার সুবিধার জন্য একটি মন্ত্রণ সভা গঠিত করিয়াছিলেন । ইহাতে ইতিহাস প্রসিদ্ধ আলিবন্দী খাঁ ও তাহার ভ্রাত হাজী আহম্মদ, জগৎশেঠ ফতেচাদ এবং দেওয়ানী কার্য্যে অভিজ্ঞ রায় আলমৰ্চাদ ছিলেন। তখনকার যুগে ইহা অভিনব ব্যবস্থা বলিতে হইবে। আলিবর্দী খ পরে বিহারের শাসক বা নায়েব নাজিম পদে প্রেরিত হন। রাজস্ব ব্যাপারে ®