পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার রাজধানী কলিকাতা ›ማ কর্পোরেশনকে প্রত্যহ অনূ্যন ৬৬,৫৩৩,০০০ গ্যালন পানীয় জল সরবরাহ করিতে হয় । টালায় লৌহস্তম্ভের উপর পানীয় জলের যে ট্যাঙ্ক আছে, উহা পৃথিবীর মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা বৃহৎ জলাধার। কলিকাতা শহরে কর্পোরেশনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত প্রায় ২৩০টি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে । কলিকাতা কর্পোরেশনের বার্ষিক আয় প্রায় দুই কোটি টাকা । কলিকাতার শিক্ষায়তন— কলিকাতার মত উচ্চ শিক্ষার কেন্দ্র ভারতবর্ষে আর নাই ! সাহিত্য, বিজ্ঞান, চিকিৎসা, স্থাপত্য শিক্ষা, চিত্রাঙ্কন, সঙ্গীত, অর্থকরী শিক্ষা প্রভৃতি সকল প্রকার শিক্ষার প্রতিষ্ঠান কলিকাতায় আছে। কলিকাতার শ্রেষ্ঠ শিক্ষায়তন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সিনেট হাউস ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় । এখানে উচ্চ শিক্ষামূলক সৰ্ব্বপ্রকার গবেষণার ব্যবস্থা আছে। এক সময়ে ইহার পরিধি সমগ্র উত্তরভারত, মধ্যভারত ও ব্ৰহ্মদেশব্যাপী ছিল। বৰ্ত্তমানে ইহার ক্ষেত্র বাংলা ও আসামের মধ্যে সীমাবদ্ধ হইলেও ইহা ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ শিক্ষায়তনরূপে সম্মানিত । এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলি কলিকাতা শহরের তিনটি বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত । কলেজ স্কোয়ারে সিনেট হাউস, দ্বারভাঙ্গ বিল্ডিং ও আশুতোষ বিল্ডিং ; পাশাবাগানে সাকুলার রোডের উপর বিজ্ঞান কলেজের ভবন এবং বালীগঞ্জে বিজ্ঞানকলেজ সংশ্লিষ্ট লেবরেটরী ও মিউজিয়ম অবস্থিত । পরলোকগত সুপ্রসিদ্ধ ব্যবহারাজীব স্ত্যর রাসবিহারী ঘোষ ও স্থার তারকনাথ পালিত মহাশয়দ্বয়ের বিপুলদানে বিজ্ঞানকলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইহাদের মৰ্ম্মরমূৰ্ত্তি পাৰ্শীবাগান বিজ্ঞানকলেজের বারান্দায় রক্ষিত আছে। 2