পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ ২৯১ মালদহ-কলিকাতা হইতে ২০৭ মাইল দূর । স্টেশন হইতে মহানন্দ পার হইয়া মালদহ শহরে পৌছিতে হয়। মালদহের পুরাতন নাম ইংরেজবাজার। পুরাতন মালদহে যখন রেশমের বড় আড়ং ছিল তখন ইংরেজ ঈস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি এই স্থানে ১৭৭০ খৃষ্টাব্দে কুঠি তথা হইতে উঠাইয়া আনিয়াছিলেন। কুঠির চারিদিকে সুদৃঢ় প্রাচীর দিয়া সুরক্ষিত ছিল ; ইহা এখন আদালত ও সরকারী দপ্তররূপে ব্যবহৃত হইতেছে। ওলন্দাজ ও ফরাসীরাও এখানে কুঠি স্থাপন করিয়াছিলেন । মুসলমানের রাজ্য হারাইলে ইংরেজ রাজকৰ্ম্মচারীরা এই স্থানে বাস করিতে আরম্ভ করেন বলিয়া ইংরেজবাজার ক্রমশঃ জেলার সদর হইয়া দাড়াইয়াছে। মহানন্দ নদীর উপর সেতু নিৰ্ম্মাণ করিয়া শহরের সহিত স্টেশনকে সংযুক্ত করিয়া দিবার একটি প্রস্তাব আছে। এখন খেয়া নৌকাযোগে গোরুরগাড়ী, মোটর প্রভৃতি পারাপারের ব্যবস্থা আছে। বর্ষাকালে মহানন্দার জলোচ্ছাস হইতে শহর রক্ষা করিবার জন্য নদী তীর দিয়া একটি উচ্চ বাধ আছে। মহানন্দ মালদহ বৃন্দাবনী আমগাছ, মালদহ জেলার প্রধান নদী। মহানন্দার প্রাচীন নাম নন্দ বা অপরনন্দা । মহানন্দ প্রাচীন নদী। মহাভারতে কৌশিকী নদীর পর নন্দ ও অপরনন্দ নামক দুইটি নদীর উল্লেখ আছে । মহানন্দ তাহাদের অন্যতম। মালদহ কতদিনের প্রাচীন স্থান তাহা বলা কঠিন। রামায়ণে মলদ ও করুষ নামে তুইটি স্থানের নাম আছে। কথিত আছে, তাড়ক রাক্ষসীর উৎপাতে এস্থান ছুইটি নিৰ্ম্মনুষ্য হইয়া যায়। অর্থাৎ অনাৰ্য্যদের উৎপাতে এস্থানের আর্য্যদের উপনিবেশ বিনষ্ট হইয়াছিল। পৌরাণিক ভূগোলেও মলদ বা মালদরাজ্যের নাম আছে। মালদহের সহিত এই মলদরাজ্যের কোনরূপ সম্বন্ধ আছে কিনা তাহ আজিও নির্ণত হয় নাই । মালদহের পার্শ্বস্থ বৌদ্ধ, হিন্দু ও মুসলমান যুগের রাজধানী গৌড় ও পাণ্ডুয়া এই স্থানের প্রাচীনত্বের সাক্ষ্য দিতেছে। মালদহ আমের জন্য বিশেষ বিখ্যাত। এখান হইতে প্রতি বৎসর ৮/১০ লক্ষ টাকার অাম নানা দেশে রপ্তানি হয়। এখানে নানা জাতীয় উৎকৃষ্ট আম হয়, তাহাঙ্গের মধো গোপালচেfগ মঙ্গলী HHHuS MAeeeAAA AAAA AAAASAA S SSSS حمخصیے.۔