পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ ৩১১ দাখিল দরওয়াজার পর কিছুদূর অগ্রসর হইলে একে একে ধ্বংসাবশিষ্ট চাদ দরওয়াজ, নিম-দরওয়াজ, প্রভৃতি অতিক্রম করিয়া বাইশগজী প্রাচীর ও পরিখাবেষ্টিত বিশাল রাজপ্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ প্রাপ্ত হওয়া যায়। ইহার পশ্চিম পাশ্ব দিয়া গঙ্গার প্রাচীন খাত কোনরূপে আপনার অস্থিত্ব রক্ষা করিয়া রহিয়াছে। রাজপ্রাসাদের প্রাচীন নাম ‘হাবেলি খাস'। ইহার চতুৰ্দ্দিকস্থ পরিখা স্থানে স্থানে শৈবালদল ও জঙ্গলপূর্ণ হইয়া গিয়াছে। কেহ কেহ অনুমান করেন এই প্রাসাদ পূৰ্ব্বে হিন্দু রাজাদিগের প্রাসাদ ছিল এবং তাঁহাদের আমলে ইহা অন্দরমহল ছিল। অন্দরমহলের পশ্চাতে পুষ্করিণী ও টাকশাল ছিল । দাখিল দরওয়াজী, গৌড় গৌড়ের ইতিহাস লেখকেরা গৌড়-প্রাসাদটিকে তিন অংশে বিভক্ত করিয়া থাকেন--- (১) উত্তরাংশে দরবার-গৃহ, (২) উহার দক্ষিণে অর্থাৎ মধ্যস্থলে রাজপ্রাসাদ, (৩) সকলের দক্ষিণে হারেম অর্থাৎ বেগম মহল ছিল । এখন এই স্থান নিবিড় জঙ্গলে আচ্ছাদিত। রাজপ্রাসাদ যেখানে অবস্থিত ছিল, তাহার উত্তর-পূর্বে সুলতান হুসেন শাহের বিশাল সমাধিস্থান আছে। ইহার নাম বাংলা কোট, কিন্তু ফ্রাঙ্কলিন উহাকে বাদশা-কি-কবর বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন। ফ্রাঙ্কলিন বলেন, এই সমাধি স্থানের পাষাণ-দ্বার দেখিতে