পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ \ס\ צס নিমাসরাইএর মিনারের আলোকের সহিত গৌড় ও পাণ্ডুয়ার মধ্যে সংবাদ আদান প্রদান করা হইত। মহানন্দ ও কালিন্দী নদীর সঙ্গমস্থলে শেষোক্ত মিনারটি অবস্থিত। ফিরোজ মিনার হইতে গৌড়ের বিস্তৃত ধ্বংসাবশেষ ও রাজমহলের গিরি শ্রেণীর ধূসর শোভা সত্যই সুন্দর মনে হয়। ফিরোজ মিনার হইতে পায় একপোয় পথ দক্ষিণে লুকোচুরি’ বা লক্ষছিপি দরওয়াজ। ইহা গৌড় দুর্গের পূর্ব দ্বার ছিল। ছর্গের উত্তর ও পূৰ্ব্ব দ্বারই বিদ্যমান, অন্য দুইটি দ্বার ধ্বংসপ্রাপ্ত হইয়াছে। কানিংহাম বলেন, ১৫২২ খৃষ্টাব্দে হুসেন শাহ এই দরওয়াজ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। বাদশাহ সাজাহানের পুত্র গৌড়ের সুবেদার শাহমুজ যখন কিছু দিনের জন্য গৌড়ে রাজধানী স্থানান্তরিত করিয়াছিলেন, তখন এই দরওয়াজার জীর্ণসংস্কার করাইয়া দিয়াছিলেন। প্রবাদ, বাদশাহ বেগমরা এই দরওয়াজায় লুকোচুরি খেলিতেন। কদমরসুল মসজিদ, গৌড় এই লুকোচুরি দরওয়াজার পাশ্ববৰ্ত্তী কদম রতুল নামক মসজিদ দেখিবার জিনিষ। মুসলমানদিগের নিকট ইহা অতি পবিত্র। ১৫৩০ খৃষ্টাব্দে সুলতান নাসির উদ্দীন নসরৎ শাহ কর্তৃক ইহা নিৰ্ম্মিত হয় । মসজিদটির একটি গুম্বজ আছে ও চারিকোণে চারিটি মিনার আছে । মিনারগুলি কৃষ্ণপ্রস্তরের। মসজিদের গর্ভগৃহে একটি বেদীর উপর আর একটি ক্ষুদ্রায়তন বেদী আছে। উহাব উপর কষ্টিপ্রস্তর নিৰ্ম্মিত যুগল পদচছু আছে। কদম রসুল অর্থে পয়গম্বর মহম্মদের পদচিহ্ন - (কদম = পদ--রসুল = পয়গম্বর) । মুসলমানরা এই পদচিহ্ন হজরত মহম্মদের বলিয়া পূজা করেন। মসজিদের মধ্যস্থ কক্ষদ্বার কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত হইলেও দেখিবার জিনিষ। উহা চারি শত বৎসরের পুরাতন । উহার তক্তার উপরে কাপড় মারিয়া পলস্তারা করা। এখনও সেই পলস্তারার কাজ অক্ষুন্ন রহিয়াছে। কক্ষ মধ্যে পকাও কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত সিন্দুক আছে। কেহ কেহ বলেন, উষ্ঠার মধ্যে 'কদম’ আনা হইয়াছিল। কেহ কেহ বলেন শয়তানকে উহার মধ্যে কিছুক্ষণ