পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংলার রাজধানী কলিকাতা &> সম্প্রতি পরিষদ ভবনের সংলগ্ন ‘রমেশ ভবন” নামক অপর একটি সৌধ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। সাহিত্য পরিষদের প্রথম সভাপতি পরলোকগত মনীষী রমেশ চন্দ্র দত্ত মহাশয়ের স্মৃতিরক্ষা কল্পে ইহা নিৰ্ম্মিত। এই ভবনে বহু পুরাতন প্রস্তর ও ধাতু মূৰ্ত্তি, শিলালেখ, ইষ্টক ও প্রাপ্য মুদ্রাদি রক্ষিত আছে। এখানকার তিনটি সুন্দর ব্রোঞ্জ মূৰ্ত্তি বাংলার শিল্প নৈপুণ্যের অপূৰ্ব্ব নিদর্শন। প্রসিদ্ধ কলারসিক উইলিয়ম রদেনষ্টীনের মতে এই মূৰ্ত্তিগুলি অতুলনীয়। এ সকল ছাড়া এখানে রাজা রামমোহন রায়ের কেশগুচ্ছ ও পাগড়ি, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের লিখিবার টেবিল, বঙ্কিমচন্দ্রের দোয়াত, রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন বয়সের প্রতিকৃতি, কবিতার পাণ্ডুলিপি, ব্যবহৃত চশমা, ঝরণা কলম ইত্যাদি, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিপিনচন্দ্র পালের চশমা, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জাম, স্বর্ণকুমারী দেবী, কামিনী রায় ও গিরীন্দ্রমোহিনী দেবীর দোয়াতদানী প্রভৃতি সংগৃহীত আছে। (৩) বসু বিজ্ঞান মন্দির—৯৩, অপার সাকুলার রোডের উপর অবস্থিত। ইঙ্গ জগৎবিখ্যাত বৈজ্ঞানিক পরলোকগত আচাৰ্য্য স্যর জগদীশ চন্দ্র বসুর গবেষণা মন্দির। এই বিজ্ঞান মন্দিরে বসিয়া আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্র উদ্ভিদ জীবনের অনেক অজ্ঞাত রহস্য উদঘাটন করিয়া সমগ্র সভ্য জগতের বিস্ময় উৎপাদন করিয়া গিয়াছেন । এই বসু বিজ্ঞান মন্দির ভবনটি প্রাচ্য স্থাপত্য প্রথায় নিৰ্ম্মিত । ইহার মধ্যে দেড় হাজার লোকের বসিবার উপযোগী একটি কক্ষ আছে। আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্র এই কক্ষে তাহার নব নব আবিষ্কারের সম্বন্ধে যন্ত্রাদি সহযোগে বক্তৃতা দিতেন। এই কক্ষের ভিতরকার প্রাচীর ও ছাদে প্রাচীন ভারতীয় পদ্ধতিতে অঙ্কিত বহু সুন্দর সুন্দর চিত্র আছে। বিজ্ঞান মন্দিরের পার্থেই আচাৰ্য বস্তুর বাস ভবন এবং নিকটেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কলেজ, ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয়, মুক-বধির বিদ্যালয় ও রামমোহন লাইব্রেরী অবস্থিত। -