পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२8 বাংলায় ভ্রমণ আদিনা মসজিদের পূর্ব দিকের দ্বার অতিক্রম করিলে প্রাচীরের বাহিরে বিস্তীর্ণ বনাকীর্ণ ভূখণ্ড দেখা যায়। ঐ জঙ্গলের মধ্য দিয়া এক মাইল পথ পূৰ্ব্বমুখে অতিক্রম করিলে সাতাইশ-ঘর নামক একটি ভগ্ন স্নানাগার দেখিতে পাওয়া যায়। উহা নৃপতি সিকদের শাহের প্রাসাদের অংশ বলিয়া কথিত। ইহার সম্মুখে একটি দুই শত হস্ত দীর্ঘ জলাশয় আছে। লোকে বলে উহা রাজা গণেশের সময়ে খনিত হইয়াছিল। । শামশী—কলিকাতা হইতে ২২৯ মাইল। স্টেশনে পৌঁছিযার কিছু আগেই মহানন্দ নদীর উপর একটি রেলওয়ে সেতু আছে। স্টেশন হইতে ৮ মাইল উত্তরে চাচল গ্রামে একঘর বদ্ধিষ্ণু জমিদারের বাস আছে; মালদহ জেলার উত্তরাংশে চাচল জমিদারী সৰ্ব্বাপেক্ষা বড়। চাচলে দাতব্য চিকিৎসালয়, বিদ্যালয়, ডাকঘর, তারঘর প্রভৃতি আছে। - ভালুক রোড়–কলিকাতা হইতে ২৩৫ মাইল। স্টেশনের পশ্চিম হইতেই মালদহ জেলার দিয়ারা অঞ্চল ; বর্ষাকালে ইহা জলমগ্ন হইয়া যায়, মাঝে মাঝে উচ্চ ভূমিতে লোকের বাস। স্টেশন হইতে ৪ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে ভালুক গ্রামে এক ঘর জমিদারের বাস আছে। হরিশ্চন্দ্রপুর—কলিকাতা হইতে ২৪১ মাইল। এখানেও একঘর জমিদার আছেন। ইহার পরের স্টেশন কুমেদপুরের কিছু পর হইতে বিহার প্রদেশের অন্তর্গত পূৰ্ণিয়া জেলার আরম্ভ। কুমেদপুরের স্টেশন পরে কাটিহার জংশন। -