পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বারাসাত-বসিরহাট লাইট রেলওয়ে 않 দেগঙ্গার নিকটবৰ্ত্ত বালাণ্ডাও একটি প্রাচীন স্থান। মুসলমান অধিকারের পূৰ্ব্বে ইহা নিমবঙ্গের “বালবল্লভী” রাজ্যের রাজধানী ছিল। বঙ্গরাজ হরিবর্মদেবের মন্ত্রী প্রসিদ্ধ নিবন্ধকার ভবদেব ভট্ট বালাণ্ডার শাসনকৰ্ত্তা ছিলেন। ভবদেব যেরূপ অসাধারণ পণ্ডিত ছিলেন তেমনই দক্ষ রাজনীতিজ্ঞ ছিলেন। তিনি “ বালবলভীভুজঙ্গ” উপাধিতে আখ্যাত ছিলেন। ভবদেব ভট্টের পদ্ধতি অনুসারে এখনও ব্রাহ্মণগণের দশকৰ্ম্মাদি সম্পন্ন হয়। ভুবনেশ্বরে তৎপ্রতিষ্ঠিত মন্দিরে তাহার বংশের প্রশস্তি উৎকীর্ণ আছে। পূর্বকালে বালাগু অতি উৎকৃষ্ট মছলন্দ বা মাছরের জন্য বিখ্যাত ছিল। -- ধানকুড়িয়া—কলিকাতা হইতে ২৭ মাইল দূর। এখানকার রেল সটেশনের নাম ধানকুড়িয়া গাইন গার্ডেন। স্টেশনের সম্মুখেই ইংরেজী ক্যাসলএর অনুকরণে নিৰ্ম্মিত গাইন বাবুদের সুন্দর বাগান বাট দেখিতে পাওয়া যায়। বিখ্যাত দানবীর শুামাচরণ বল্লভ মহাশয় ধানকুড়িয়ার অধিবাসী ছিলেন । সততা ও অধ্যবসায়ের দ্বারা শু্যামাচরণ । অতি দীন অবস্থা হইতে বিশেষ ধনশালী হইয়া উঠেন । পাটের ব্যবসায়ে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন। তাহার ন্যায় পরদুঃখকাতর দয়ালু ব্যক্তি অতি অল্পষ্ট দেখা যায়। একবার ২৪ পরগণা জেলায় ভিক্ষ উপস্থিত হইলে তিনি স্বীয় পত্নীর উৎসাহে নিজের বাড়ীতে একটি অন্নসত্র খুলেন এবং এক বৎসরেরও অধিককাল ধরিয়া প্রতাঙ্গ অনূ্যন দুই হাজার নরনারীকে অন্নদান করেন। ধানকুড়িয়া গ্রামে তাহার প্রতিষ্ঠিত একটি অতিথিশালা আছে । ১৩০৫ সালে শ্যামাচরণ বল্লভ মহাশয় পরলোক গমন করেন । মদনমোহনের মন্দির ধানকুড়িয়ার একটি দ্রষ্টব্য বস্তু । আড়বালিয়া ও শীকরণকুলীন গ্রাম-কলিকাতা হইতে যথাক্রমে ২৮ ও ৩০ মাইল দূর। এই দুই গ্রামে বহু শিক্ষিত ব্যক্তির বাস। আড়বালিয়ার জ্ঞান বিকাশিনী উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত । ইহা ২৪ পরগণা জেলার প্রাচীনতম বিদ্যালয়গুলির অন্যতম । ● বসিরহাট—কলিকাতা হইতে ৩৫ মাইল দূর। ইহা ২৪ পরগণা জেলার অন্যতম মহকুমা। শহরটি ইছামতী বা যমুনা নদীর দক্ষিণতীরে অবস্থিত। বসিরহাট শহরে একটি প্রাচীন মসজিদ আছে, উহা সালিক মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটির পরিমাণ ফল ৩৬ ফুট x ২৪ ফুট ; তুইটি কারুকার্য্যখচিত প্রস্তর স্তম্ভের উপর ছয়টি গুম্বজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি ১৪৬৭ খৃষ্টাব্দে ইউসুফ শাহের রাজত্বকালে উলুগ মজলিস-ই-আজম নামক জনৈক ব্যক্তি কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হয়। " বসিরহাট মিউনিসিপ্যালিটির অন্তর্গত ভাবলা গ্রাম পরলোকগত প্ৰসিদ্ধ ব্যবসায়ী স্তর রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের জন্মস্থান । দণ্ডীরহাট- কলিকাতা হইতে ৩৮ মাইল দূর। ইহা বসিরহাট মহকুমার একটি প্রসিদ্ধ স্থান। পরলোকগত খ্যাতনামা চিকিৎসক জগবন্ধু বস্থ মহাশয় দণ্ডীরহাটের অধিবাসী ছিলেন। চিকিৎসা বিষয়ে তাহার-মলাধারণ নৈপুণ্য প্রবাদের ন্যায় এখনও