পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, (গ) হাওড়া-আমতা ও হাওড়া-শিয়াখাল লাইট রেলওয়ে এই ছোট মাপের রেলপথ দুইটি মার্টিন কোম্পানি কর্তৃক নিৰ্ম্মিত ও পরিচালিত। হাওড়াঘাট (তেলকলঘাট) হইতে আরম্ভ হইয়৷ ইহা হাওড়া শহরের উপকণ্ঠস্থ কদমতলা জংশনে আসিয়া দুই ভাগে বিভক্ত হইয়াছে। একটি লাইন হাওড়া জেলার অন্তর্গত আমতা ও অপরটি হুগলী জেলার অন্তর্গত শিয়াখাল পর্য্যন্ত গিয়াছে। হাওড়া-আমতা রেলপথে মাকড়দহ, ডোমজুড়, বড়গাছিয়া জংশন, মুন্সীরহাট ও আমতা উল্লেযোগ্য স্টেশন। - মাকড়দহ- হাওড়াঘাট হইতে ৮ মাইল দূর। এই স্থান সরস্বতী নদীর তীরে অবস্থিত। এখানকার মাকড়চণ্ডীর মন্দির খুব প্ৰসিদ্ধ। মাকড়চণ্ডী দেবী শ্ৰীমন্ত সদাগরের প্রতিষ্ঠিত বলিয়। কথিত। পূৰ্ব্বকালে এই মন্দিরের পার্শ্ব দিয়াই সরস্বতী নদী প্রবাহিত ছিল। সরস্বতী এখন মজিয়া গিয়াছে, কিন্তু পূৰ্ব্বকালে এই নদী দিয়াই সপ্তগ্রাম বন্দরে বাণিজাপোত সকল যাতায়াত করিত। । ডোমজুড়-হাওড়াঘাট হইতে ১০ মাইল দূর। ইহাও সরস্বতী নদীর তীরে অবস্থিত। এই স্থান পাটের বাবসায়ের জন্য বিখ্যাত। এখানে আতসবাজী, সোলার টুপি ও তালাচারী তৈয়ারী হয়। এই স্থানে বহু পানের বরজ আছে। বড়গাছিয়া জংশন-হাওড়াঘাট হইতে ১৬ মাইল দূর। এই স্থান হইতে একটি শাখা লাইন ১৬ মাইল দূরবর্তী চাপাডাঙ্গা পৰ্য্যন্ত গিয়াছে। বড়গাছিয়া একটি বদ্ধিষ্ণু স্থান। এখানে স্বাস্থ্য কেন্দ্র, দাতব্য চিকিৎসালয়, থানা ও সবরেজিষ্ট্ৰী আফিস প্রভৃতি আছে। এই স্থানের নিকটবৰ্ত্তী কমলাপুর গ্রাম বাংলার বিখ্যাত যাদুবিদ্যাবিশারদ আত্মারাম সরকারের জন্মস্থান। কাহাকে কোনরূপ অদ্ভুত কিছু করিতে দেখিলে লোকে এখনও কথায় বলে “আত্মারাম সরকারের ভেস্কি" । মুন্সিরহাট-হাওড়াঘাট হইতে ১৯ মাইল দূর। ইহা এতদঞ্চলের একটি বিখ্যাত বাণিজ্য কেন্দ্র । এখানকার হাট খুব প্রসিদ্ধ। এই স্থান হইতে মোটর বাস যোগে প্রাচীন ভূরিশ্রেষ্ঠ রাজ্যের রাজধানী ও মহাকবি ভারত চন্দ্রের জন্ম স্থান পেড়োর গড়