পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২ বাংলায় ভ্রমণ কলিকাতা হইতে ক্যানিং পর্য্যন্ত লাইন নিৰ্ম্মাণ করেন। ১৮৬২-৬৩ খৃষ্টাব্দে এই লাইনের কাৰ্য্য শেষ হয়। কিন্তু কাৰ্য্যকালে লাইনের আয় এত অল্প হয় যে শেষে ঐ কোম্পানি চুক্তিমত গভর্ণমেণ্ট কে লাইন বিক্রয় করিয়া দেন। পরে অবশ্ব কলিকাতা বন্দর পরিবর্তনের সঙ্কল্প বদলাইয়া যায়। একদিক দিয়া এই লাইনের একটি বৈশিষ্ট্য আছে। ভারতবর্ষের মধ্যে ক্যানিং লাইনই প্রথম সরকারী তত্ত্বাবধানে আসে। এখন সেই জায়গায় চারটি বড় বড় লাইন সরকারের (State) তত্ত্বাবধানে চলিতেছে ; যথা—ঈ আই, জি আই পি, এন ডব্লিউ এবং ঈ বি রেলওয়ে। ডায়মণ্ডহারবার লাইন ১৮৮৩ খৃষ্টাব্দে খোলা হয়। ইহারও মূলে সেই বন্দর স্থানান্তরিত করিবার ইচ্ছা ছিল । সরকার মনে করিয়াছিলেন সমুদ্রের কাছে কোনও শহরে বন্দর স্থাপিত হইলে সকলদিকে সুবিধা হইবে । কিন্তু যে সময়ে এই লাইনে গাড়ী চলিল তখন মত পরিবৰ্ত্তিত হইয়া গিয়াছে । এই লাইনটি যে অঞ্চল দিয়া গিয়াছে তাহার চারিদিকে প্রচুর ধান জন্মায়। ধান-চালানীর কাজে এই লাইন যথেষ্ট উপকারে আসিতেছে । কুষ্ঠিয়া, কানিং ও ডায়মগুহারবার লাইন ছাড়া সরকারী প্রচেষ্টায় নর্দার্ণ, বেঙ্গল রেলওয়ে খোলা হয়। ১৮৭৫-৭৭ খৃষ্টাব্দে বাংলাদেশে ভীষণ তুভিক্ষ হয় । তুভিক্ষ নিবারণকল্পে উত্তরবঙ্গে এই লাইনের সৃষ্টি । ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দে লাইন পাত শেষ হয় ও গাড়ী চলিতে মুরু করে। নর্দার্ণ, বেঙ্গল রেলে সাড়া হইতে শিলিগুড়ি এবং পাৰ্ব্বতাপুর হইতে একদিকে দিনাজপুর ও অপরদিকে কাউনিয়া পৰ্য্যন্ত প্রথম গাড়ী চলিয়াছিল। এই রেল মাঝারি মাপে (Metre Gauge) পাতা হয়। অনেকে জানেন না যে চট্টগ্রাম হইতে মুদূর আমেদাবাদ পর্যন্ত ১৭৬১ মাইল পথ এষ্ট মাপের (Metre Gauge) লাইন ধরিয়া যাওয়া যায়। আজকাল তুষ্টখানি ট্রেন নিয়মিতভাবে এষ্ট লাইন দিয়া আমিনগা হইতে লক্ষে ও এলাহাবাদ পর্য্যন্ত যাতায়াত করিতেছে । ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দে ঈস্টর্ণ বেঙ্গল রেলওয়ে সরকারের হাতে আসে এবং ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে সরকার নারায়ণগঞ্জ হইতে ঢাকা হইয়া ময়মনসিংহ পর্যন্ত একটি মাঝারি মাপের লাইন খুলেন। ১৮৮৭ খৃষ্টাব্দের ১লা এপ্রিল তারিখে এই লাইনটি, নর্দার্ণ, বেঙ্গল রেলওয়ে ও অন্য কয়টি লাইন ঈস্টর্ণ বেঙ্গল রেলওয়ের সহিত একত্র হইয়া “ ঈস্টর্ণ বেঙ্গল সটেটু রেলওয়ে” নামে অভিহিত হয়। এন ডব্লিউ রেলওয়ে প্রমুখ সরকারী