পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ VHම් তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অন্যান্য রেলওয়ে সমূহের নামকরণের সহিত সামঞ্জস্য বিধানকল্পে ১৯১৫ খৃষ্টাব্দে “সটেটু” কথাটি উঠাইয়া দেওয়া হয়। তারপর বছরের পর বছর কাটিয়াছে, কুচবিহার, ধুবড়ী, আমিনগা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, ফরিদপুর প্রভৃতি বহুদূর ও বহুদিক বিস্তৃত জেলা ও পরগণাগুলি একই লৌহবত্বে বাধা পড়িয়া পরস্পরের নিকটতর হইয়া উঠিয়াছে। যেখানে সম্ভব সেইখানে নদ-নদীর পুল বাধা হইয়াছে অথবা রেলেরই খেয়া-জাহাজের ব্যবস্থা হইয়াছে। যে পদ্মার ভাঙ্গার খেলায় সকলেই সদা সন্ত্রস্ত থাকে, আজ সেই তুরন্ত পদ্মার বুকেও লৌহের বন্ধনী পড়িয়াছে। সাড়ার হাডিং পুল (১৯১৫ খৃষ্টাব্দে নিৰ্ম্মিত) জগতে স্থপতি বিদ্যার এক অত্যুজ্জল কীৰ্ত্তিস্তম্ভরূপে দাড়াইয়া আছে। আজ শিয়ালদহ হইতে গাড়ীতে চড়িয়া লোকে সুদূর দাজ্জিলিং, পৃণিয়া (বিহার), কামরূপ (আসাম ) চলিয়া যাইতেছে। ২৪ পরগণা, খুলনা, ফরিদপুর যশোহর, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, পাবনা, রাজশাহী, বগুড়, দিনাজপুর, রংপুর, জলপাইগুড়ি দাজ্জিলিং, মালদহ, পূৰ্ণিয়া (বিহার) কুচবিহার, ময়মনসিংহ, ঢাকা, গোয়ালপাড়া, (আসাম) ও দরং (আসাম) এই একুশটি বিভিন্ন জেলার ভিতৰ দিয়া ঈ, বি, রেলওয়ে চলিতেছে । কলিকাতা অঞ্চল হইতে বরিশাল, চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, ত্রিপুরা এবং আসামের শ্রীহট ও গারো পাহাড় যাইতেও ঈ বি রেল পথ ব্যবহার করিতে হয়। কিছুদিন পূর্বেও কলিকাতা হইতে মাত্র সান্তাহার পর্যান্ত বড় লাইন (Broad Gauge) ছিল । দাজ্জিলিং, আমিনগা, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর প্রভৃতি স্থানে যাইতে এখান হইতে মাঝারি লাইনের (Metre Gauge) গাড়ীতে বদল করিতে হইত। এখন শিলিগুড়ি পর্য্যন্ত বড় লাইন গিয়াছে। দাজ্জিলিং যাইতে এখান হইতে পাহাড়ে চড়িবার জন্য দাৰ্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ছোট গাড়ীতে চড়িতে হয়। দিনাজপুর এবং রংপুর যাইতেও পাৰ্ব্বতীপুরে গাড়ী বদল করিতে হয়। বর্তমানেও ঈ বি রেলের প্রসার কাৰ্য্যের বিরাম নাই। কিছু দিন পূর্বে দিনাজপুর হইতে রুহিয়া পৰ্য্যন্ত একটি লাইন খোলা হইয়াছে। সম্প্রতি বারুইপুর-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখা লাইন, পুণিয়া মুরলীগঞ্জ লাইন, আবদুলপুর-নবাবগঞ্জ, কালুখালি-ভাটিয়াপাড়া ও টাঙ্গল-রঙ্গপাড়া শাখা লাইন খোলা হইয়াছে।